প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
যশোর থেকে খান সাহেব : যশোরের চৌগাছায় বিগত সাত দিনের ব্যবধানে ১১ ব্যাক্তি করোনা শনাক্ত হয়েছেন। চৌগাছায় সর্বপ্রথম ২২ এপ্রিল করোনা শনাক্ত হয় শহরের কুটিপাড়া এলাকার এক স্কুল ছাত্র, একইদিন করোনা শনাক্ত হয় শহরের পাঁচনামনা এলাকার একজন নারী।
দুটি বাড়ি লকডাউন করা হলেও বাড়ির সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বরং চ্যালেন্জ করে বলে তাদের করোনা শনাক্ত সঠিক হয়নি কোথাও ভূল হচ্ছে। পরবর্তীতে ২৩ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি থাকা উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের বানরহুদা গ্রামের একজন গর্ভবতী মহিলা করোনা শনাক্ত হন। তাকে আইসলোশনে নেওয়ার আগেই তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে যান।
এ পর্যায়ে ২৭ এপ্রিল প্রথম শনাক্ত হওয়া স্কুল ছাত্রের সাথে বসবাসকারী তার নানা ও নানী, পাঁচনামনা গ্রামের ওই নারীর স্বামী এবং তাদেরকে চিকিৎসা প্রদানকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন তরুণ চিকিৎসক করোনা শনাক্ত হন।
সর্বশেষ ২৮ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চার জন নার্সসহ ডিভাইন গ্রুপের গামের্ন্টেন্সের একজন নারী কর্মী করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
এ পর্যন্ত যশোর জেলার করোনা শনাক্ত হওয়া ৪৪ জনের মধ্যে ১১ জনের বসবাস চৌগাছা উপজেলায়।
করোনা ভাইরাসকে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পৌর প্রশাসন চৌগাছা উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে জনগণকে ঘরে রাখার ব্যাপক চেষ্টা করেও বলা যায় একপ্রকার ব্যর্থ হয়েছে।
এলাকার মানুষরা প্রশাসনের সাথে লুকোচুরি খেলায় মেতে উঠেছে।
গণমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হলেও সাধারন জনগণের ভাষ্য এসব গুজব। সবমিলিয়ে করোনা সংকট চৌগাছায় মহামারী রুপ নিতে পারে বলে আশংকা করছেন সচেতন মহল।