ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনা মোকাবেলায় সরকারি- বেসরকারি যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন : আইনমন্ত্রী 


প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


করোনা মোকাবেলায় সরকারি- বেসরকারি যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন : আইনমন্ত্রী 

   

স্টাফ রিপোর্টার : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন,  করোনা ভাইরাস জনিত বর্তমান সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারি- বেসরকারি যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তবেই এ সংকট ভালোভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব। 

গতকাল বাংলাদেশ সময় রাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত  "কোভিড-১৯ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস:প্রোটেকটিং দ্যা মোস্ট ভালনারেবল" শীর্ষক এক ওয়েব সেমিনারে (ওয়েবইনার) ঢাকা থেকে অনলাইনে অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। জাতিসংঘ গ্লোবাল কম্প্যাক্ট এ সেমিনারের আয়োজন করে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট (Michelle Bachelet) ও ন্যাটুরা কোম্পানির চেয়ারম্যান রবার্ট মারকুইসও (Robert Marques) সেমিনারে অতিথি হিসেবে অংশ নেন।

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস জনিত সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারের অবস্থান তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাস  জনিত সঙ্কট মোকাবেলায় বেশ কিছু উদ্দীপনা প্যাকেজ সহ তাঁর সরকারের তরফ থেকে দুই ধাপে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার সার্বিক একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।

এর মধ্যে প্রথম ধাপে তিনি রফতানীমুখী শিল্পকর্মী ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা(জরুরী) প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার চারটি নতুন আর্থিক উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া কৃষি খাতের ক্ষতি মোকাবিলায় কৃষকের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে সারাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ ও সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারি ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে। গত ২৬ এপ্রিল  পর্যন্ত মানবিক সহায়তা হিসেবে ৭০ লাখ ৬৭ হাজ্জার ৯৩০টি পরিবার তথা তিন কোটি ৮১ লক্ষ ৫৮ হাজার ২৬৮ জনের কাছে সরকারের চাল ও নগদ টাকার সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে শিশুদের জন্যও আলাদাভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে পরিত্র রমজন উপলক্ষে দেশব্যাপী ৪৯৮টি ট্রাকে করে সাশ্রয়ী দামে এক হাজার ৬০০ মেট্রিক টন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য টিসিবি'র মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সয়াবিন তেল, মশুর ডাল, চিনি, ছোলা, পেয়াঁজ ইত্যাদি।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস  জনিত  সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তি বিশেষ  এগিয়ে এসেছে। 

তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি গার্মেন্টস সংগঠনগুলো তাদের কারখানাগুলোর কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজ হবে।


   আরও সংবাদ