ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মানবপাচারকারী চক্রের টার্গেট রোহিঙ্গা নারী


প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


মানবপাচারকারী চক্রের টার্গেট রোহিঙ্গা নারী

   

স্টাফ রিপোর্টার : মানব পাচারকারী চক্রের প্রথম টার্গেট রোহিঙ্গা নারীরা। রোহিঙ্গা নারীদের পাচারের সুবিধা হলো তারা সৌদি আরবে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হলেও পাচারকারী চক্রের সদস্যদের কোনো জবাবদিহিতা করতে হয় না। তাছাড়া ভুক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় নেওয়ার ঝুঁকেও থাকে না।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকাল ৪ টায় কাওরান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এমরানুল হাসান এসব তথ্য জানান।

এমরানুল হাসান বলেন, এই মানবপাচারকারী চক্রের প্রধান আব্দুল হামিদ। সে ১৯৯০ সাল থেকে সৌদি আরবে বসবাস করেন। ২০০৭ সালে সৌদি আরবে ৬ মাস কারাদণ্ডের পর, তিনি দেশে ফেরেন। এরপর থেকেই সৌদি আরব ভিত্তিক মানব পাচার শুরু করেন।

র‍্যাব-৩ এর এই অধিনায়ক জানান পাচারকারী চক্রের প্রধান আব্দুল হামিদ প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, সৌদি আরবে নারী পাচার করতে কোন টাকা পয়সা খরচ হয় না। এ কারণেই খুব সহজেই অসহায় নারী ও তাদের অভিভাবকদের সৌদি আরবের পাচারের উদ্দেশ্যে প্রলুব্ধ করা যায়।

পাশাপাশি একজনকে পাচার করা জন্য সে ৫০ হাজার টাকা নেন। তবে খরচ বাদে পাচারের পর ১৫ হাজার করে টাকা থাকে।

এমরানুল হাসান আরো বলেন, গতকাল (২৬ মার্চ) রাজধানীর খিলগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জন মায়ানমার নারীকে উদ্ধার করা হয়। এসময় পাচারকারী চক্রের ২ সদস্যকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- আবদুল হামিদ (৩০) ও রিয়াদ হোসেন (৩৪)। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, ভুয়া জন্ম নিবন্ধনের কপি, পাসপোর্ট ফরম ও একটি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়। 

পাচারের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা  ক্যাম্পে অবস্থানকালে দালাল জাহিদের প্রলুব্ধ হয়ে সৌদি আরব যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নারীরা। পরবর্তীতে দালাল জাহিদ মার্চের প্রথম দিকে আব্দুল হামিদের বাসায় আসে।

আব্দুল হামিদ পরবর্তীতে ট্রাভেলিং এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। দালাল রিয়াদ হোসেনের মাধ্যমে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে। তারপর কেরানীগঞ্জে পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়।

এ বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল হামিদ জানান, সে এখন পর্যন্ত ২০ জনকে সৌদি আরবের পাচার করেছে।


   আরও সংবাদ