ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মণিরামপুরের চাকলা মাঠপাড়ার মুসল্লীদের স্বপ্নের মসজিদ


প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


মণিরামপুরের চাকলা মাঠপাড়ার মুসল্লীদের স্বপ্নের মসজিদ

   

মণিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা : মসজিদ মুসলমানদের ইবাদতের ঘর। মুসলিম জাতি মসজিদকে আল্লাহর ঘর হিসেবে মানে। ইবাদত বন্দেগী, ধর্মশিক্ষা ও ধর্মচর্চাকেন্দ্র হিসেবে মুসলমানরা মসজিদকে বেছে নিয়েছেন। তাই  স্থানীয় উদ্যােক্তা মুসল্লীরা তাদের সুবিধামত স্থানে গড়ে তুলেছেন পবিত্র আল্লাহর ঘর মসজিদ। 

যুগে যুগে স্থান ভেদে বিভিন্ন শহর ও গ্রাম গঞ্জে গড়ে উঠেছে মনোরম পরিবেশে দৃষ্টিনন্দন অসংখ্য মসজিদ। পক্ষান্তরে অনেক এলাকায় নানাবিধ কারণ ও সমস্যায় আজও নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাইদের জন্য কাংখিত মসজিদ।  অতি সম্প্রতি যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নের চাকলা মাঠপাড়ায় যেয়ে দেখা যায়, স্থানীয় বাসিন্দারা একটি মসজিদ তৈরি করছে। 

আধুনিক যুগে ইট-বালুর গাঁথুনি দিয়ে ভীত গড়ে স্যানিটারী দোকানের পিলার বসিয়ে টিনসেড দেওয়ার আয়োজন চলছে।  বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। এই যুগে এ ধরনের একটি অত্যান্ত আটপৌরে ভাবে নির্মিতব্য মসজিদ দেখে কৌতুহল বশত: এগিয়ে গেলাম মসজিদটির সন্নিকটে। 

এটির প্রধান উদ্যোক্তা স্থানীয় বাসিন্দা ও মাস্টার্সের ছাত্র রেজোয়ান হোসেনের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, তাদের বহু দিনের স্বপ্ন মহল্লায় একটি মসজিদ নির্মান করা। কিন্তু জমির অভাবে এতোদিন সম্ভব হয়নি। তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান সম্প্রতি  মসজিদ নির্মানে জমি দিতে সম্মত হওয়ার পরই আমরা গত ১০/১২ দিন আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে তড়িঘড়ি করে মসজিদ খাঁড়া করেই নামায আদায় করছি। তিনি জানান, আমাদের মহল্লায় প্রায় ৫০ টি মুসলিম পরিবারের বসবাস। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ পাশ্ববর্ত্তী অথচ বেশ দুরের গ্রাম কাঠালতলা জামে মসজিদে জুম্মার নামায পড়তে যায়। ওই মসজিদে যাবার যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভাল না।

 তাই আমাদের মহল্লার ধর্মপ্রান মুসল্লীদের  ওয়াক্তের নামায অগত্যা বাড়িতেই পড়তে হয়। কাঠালতলা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন শেখ আরসলামের বাড়িও চাকলা মাঠ পাড়ায়। কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, আমাদের গ্রাম থেকে কাঠালতলা গ্রামে যেয়ে নামাজ আদায় করা খুবই কঠিন কাজ। যোগাযোগের জন্য কোন রাস্তা নেই। মেঠো পথ দিয়ে বহুকাল ধরে বহু কষ্ট ক্লেশ করে দুরের মসজিদে যেয়ে আমরা নামাজ পড়ে আসছি। 

আজ স্থানীয় উদ্যােগী কিছু যুবক এই মসজিদ নির্মাণ করছে। তাই আমাদের খুবই ভাল লাগছে। আমাদের মহল্লায় দীর্ঘদিনের মসজিদ নির্মানের স্বপ্ন আজ পূরণ হতে চলেছে। কিন্তু সুন্দর একটি মসজিদ ভবন নির্মান করার মতো সামর্থ আমাদের নাই।

এ বিষয়ে প্রধান উদ্যােক্তা রেজােয়ান হোসেন বলেন, কোন সংস্থা কিংবা দানশীল ব্যক্তি যদি আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান তবে হয়তো আমাদের এই মসজিদটির ভাল একটি ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হবে। আমাদের মহল্লাবাসীর স্বপ্নসাধ হয়তো সেদিন পূর্ণ হবে।


   আরও সংবাদ