ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য কোয়ারেনটাইন ব্যবস্থা রাখতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী 


প্রকাশ: ২ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য কোয়ারেনটাইন ব্যবস্থা রাখতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

   

স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, "করোনায় পোশাক কারখানায় কর্মরত গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য আলাদা কোয়ারেনটাইন ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোন শ্রমিক আক্রান্ত হলে তাকে যেন কোন ভোগান্তিতে ভুগতে না হয় সেজন্য শিল্প মালিকদের আলাদা কোয়ারেনটাইন ব্যাবস্থা রাখাসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্যোগী হতে হবে।

একই সাথে ঢাকার সাথে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের কারখানাগুলোর শ্রমিকদের অধিক আক্রান্ত এই ৩টি জোনে সবধরনের যাতায়াত ব্যবস্থাও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে।"

রোববার (৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনায় শিল্প ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা সংক্রান্ত আন্তঃ মন্ত্রণালয়ের সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলোর সচিব,তৈরি পোশাক শিল্প সংস্থার নেতৃবৃন্দ,পুলিশের আইজিপিসহ স্বাস্থ্যখাতের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় পোশাক শিল্পখাত সংস্থার নেতৃবৃন্দ করোনার এই দুঃসময়ে পোশাক শিল্প কারখানা খোলা রাখা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ও খোলা রাখার স্বপক্ষে নানাবিধ যুক্তি তুলে ধরলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,"কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে পোশাক-খাত কারখানাগুলো খোলা রাখা যাবে। দেশের মানুষের জীবন ও জীবীকা দুটোই ঠিক রাখতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পখাত দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে যাবো।অন্যদিকে করোনার এই দুঃসময়ে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষারও উদ্যোগ নিতে হবে।কাজেই একদিকে দেশের অর্থনীতির চাকাও সচল রাখতে হবে অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধিও কঠোরভাবে মানতে হবে।"

শিল্প কল-কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বেশকিছু জরুরি নির্দেশনা দেন।পোশাক শিল্প খাতের প্রতিনিধি,শ্রমিক প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি মিলি একটি যৌথ কমিটি করার নির্দেশনা দেবার পাশাপাশি শ্রমিকদের থাকা,খাওয়া ও যাতায়াতে আলাদা ব্যবস্থা রাখা,শ্রমিকদের টেস্টিং সুবিধা বৃদ্ধি করাসহ এসময় আরো বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনাও দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।করোনায় কোন কারখানায় বেশি মানুষ আক্রান্ত হলে তা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সভায় অন্যানের মধ্যে বিকিএমইএ'র সভাপতি সেলিম ওসমান এমপি,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন,স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম,বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন,পুলিশের মহা পরিদর্শক বেনজীর আহমেদ,শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব,বানিজ্য সচিব,শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক,স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ইকবাল আরসেলান,ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ সহ বিভিন্ন শিল্প সংস্থার নেতৃবৃন্দ এবং স্বাস্থ্যখাত ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সভায় শিল্প সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেয়া স্বাস্থ্যবিধিসমূহ গুরুত্বের সাথে পালনের কথা জানান এবং নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগ নেবার কথা আশ্বস্ত করেন।


   আরও সংবাদ