ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহদাত বাহিনীর সদস্য নজরুল গ্রেফতার


প্রকাশ: ১৯ অগাস্ট, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহদাত বাহিনীর সদস্য নজরুল গ্রেফতার

   

স্টাফ রিপোর্টার : সাভার এলাকা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী- চাঁদাবাজ ও শাহাদাত বাহিনীর গাজী সুমন গ্রুপের কিলিং মিশনের অন্যতম সদস্য নজরুল ইসলাম ওরফে মিঠু ওরফে মিন্টু ওরফে প্রশান্তকে বিদেশী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। 

সোমবার দুপুরে র‌্যাব-৪ এর স্টাফ অফিসার এসব
তথ্য নিশিত করেন।

জানা যায়, মেজর কাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের সামনে থেকে নজরুলকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন এবং ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। 

র‌্যাব জানায়, ঢাকা শহরের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত মিরপুর পল্লবীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক। চাঁদা দাবী, অপহরণ ও খুন ছিল তার নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, ঠিকাদারসহ চাকুরীজিবীদের কাছ থেকেও নিয়মিত চাঁদা আদায় করত।

চাঁদাবাজী, অপহরণ ও খুনসহ বিভিন্ন মামলায় শাহাদাতকে আদালত মৃত্যুদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছেন। আইন শৃংখলা বাহিনী শাহাদাতকে গ্রেপ্তারের জন্য পুরুস্কার ঘোষণাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। 

অভিযানের কারণে শাহাদাত পালিয়ে কলকাতায় অবস্থান নেয়। কিন্তু সেখানে থেকেও শাহাদাত বাংলাদেশে তার অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। 

শাহাদাতের নির্দেশে মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত দশটি গ্রুপ কাজ করছে। একটি গ্রুপ বিভিন্ন ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, ঠিকাদারদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে শাহাদাতকে সরবরাহ করে। শাহাদাত কলকাতায় অবস্থান করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের কাছে কোটি কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্য গ্রুপ চাঁদার টাকা সংগ্রহ করে হোন্ডির মাধ্যমে শাহদাতের কাছে পাঠায়। যারা দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করে তাদের হত্যার জন্য তার পরিচালিত কিলার বাহিনীকে নির্দেশ দেয়।

শাহাদাতের নির্দেশে কিলার বাহিনী গাজী সুমনের পরিকল্পনায় হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকে। যার অন্যতম প্রধান সদস্য নজরুল ইসলাম ওরফে মিঠু ওরফে মিন্টু ওরফে প্রশান্ত। 

গ্রেপ্তার নজরুলের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র‌্যাব-৪ এর মেজর কাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, নজরুল শাহাদাত বাহিনীর কিলিং মিশনের অন্যতম সদস্য। শাহাদাত বাহিনীর প্রধান শাহাদাতের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে হত্যাকান্ড ঘটায়। তার নামে একাধিক হত্যা ও অস্ত্র মামলা রয়েছে।

শাহাদাতের দাবি করা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাহাদাতের নির্দেশে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি প্রদানসহ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকে। নজরুলেরর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


   আরও সংবাদ