ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ত্রাণ পে‌তে যা‌চ্ছে যশো‌রের ৭৫ হাজার প‌রিবার


প্রকাশ: ৪ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ত্রাণ পে‌তে যা‌চ্ছে যশো‌রের ৭৫ হাজার প‌রিবার

   

যশোর থেকে খান সাহেব : যশোরে ৭৫ হাজার দরিদ্র পরিবার ত্রাণ সহায়তা পেতে যাচ্ছে। জেলার আটটি উপজেলা এবং আটটি পৌরসভায় সম্ভাব্য সুবিধাভোগী এসব পরিবারের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

করোনা সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়া এসব পরিবার কুইক রেসপন্স (কিউআর) কোডযুক্ত রেশন কার্ডের মাধ্যমে এই ত্রাণ সহায়তা পাবে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে জেলার কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র ও অভাবি ৭৫ হাজার পরিবার রেশন কার্ডের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পাবে। যতদিন করোনার প্রভাব থাকবে ততদিন এই সহায়তা চলতে থাকবে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে পরিবারভিত্তিক এসব মানবিক সহায়তা কার্ডের তালিকা করা হচ্ছে। এসব কার্ডে ১২টি তথ্য লিপিবদ্ধ করতে হচ্ছে। পরিবারপ্রধানের নাম, বাবা বা স্বামীর নাম, জন্মতারিখ, বয়স, লিঙ্গ, পেশা, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং পরিবারের সদস্য সংখ্যার (পুরুষ, মহিলা, হিজড়া, শিশু প্রতিবন্ধী আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে) তথ্য নেওয়া হচ্ছে। আগে কোনো সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় থাকলে তার নাম, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানাও সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রত্যেককে কিউআর কোডযুক্ত কার্ড দেওয়া হবে। 

এই কার্ডে লুকায়িত অবস্থায় তার বিস্তারিত তথ্য থাকবে। বিভিন্ন কর্মসূচির আলাদা রঙের কার্ড থাকবে। এক কর্মসূচির কার্ড দিয়ে অন্য কর্মসূচির সুবিধা নেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয়ভাবে একটা সফটওয়্যার থাকবে। সেখান থেকে সারাদেশের সুবিধাভোগীদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে জানা যাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্য কোনো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সহায়তা পাচ্ছেন কি-না।

সূত্র আরো জানায়, জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার মেয়রদের কাছে সুবিধাভোগী গরিব পরিবারের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর তা অনলাইনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে তালিকা অনুমোদনের পর ত্রাণ বিতরণ শুরু হবে। প্রথম দফায় কার্ড-প্রতি ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

জানা যায়, যশোর সদর উপজেলায় দশ হাজার ৭০০, মণিরামপুরে ১১ হাজার, শার্শায় সাত হাজার ৭০০, চৌগাছায় ছয় হাজার ৪০০, ঝিকরগাছায় সাত হাজার ৩০০, অভয়নগরে সাড়ে পাঁচ হাজার, বাঘারপাড়ায় ছয় হাজার এবং কেশবপুর উপজেলায় সাড়ে ছয় হাজার পরিবার এই ত্রাণ সহায়তা পাবে।
এর বাইরে যশোর পৌরসভায় আট হাজার ১০০, নওয়াপাড়া পৌরসভায় এক হাজার, চৌগাছা পৌরসভায় ৬০০, মণিরামপুর পৌরসভায় এক হাজার, বাঘারপাড়া পৌরসভায় ৫০০, বেনাপোল পৌরসভায় এক হাজার, ঝিকরগাছা পৌরসভায় ৭০০ এবং কেশবপুর পৌরসভায় এক হাজার পরিবার রেশন কার্ডের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেতে যাচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, জেলার ৭৫ হাজার দরিদ্র পরিবার কিউআর কোডযুক্ত রেশন কার্ডের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পাবে। করোনার প্রভাব থাকা পর্যন্ত এই ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চলবে। জেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার মেয়রদের কাছে গরিব পরিবারের তালিকা চাওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, রোববার তালিকা পাঠানোর শেষ দিন ছিল। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত তালিকা পাওয়া যায় নি। তালিকা পাওয়ার পর তা অনলাইনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদনের পর আগামী সপ্তাহে এই ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হবে। প্রথম দফায় কার্ড প্রতি ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।


   আরও সংবাদ