প্রকাশ: ১৯ অগাস্ট, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : কমলাপুর পরিত্যক্ত বগি থেকে উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আসমা আকতার (১৭) 'কে ধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক প্রভাষক ডাঃ প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তার ধর্ষণের আলামত পেয়েছি। এবং শরীরের নির্যাতনের চিহ্নও পাওয়া গেছে। এছাড়াও ধর্ষিত হয়েছে কিনা, এ জন্য নমুনা সংগ্রহ করে প্যাথলজীতে পাঠানো হয়েছে। এর রিপোর্ট পাওয়ার পর আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ওয়সা ফিটের পূর্ব পাশে একটি পরিত্যাক্ত বগির বাথরুমের ভিতর থেকে আসমা আকতার (১৭) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছেন।
ঢাকা রেলওয়ে (কমলাপুর) থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বলেন, আমরা গতকাল সকালে কমলাপুর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠাই।
তিনি জানান, তার বুকের ডান পাশে স্তনে কামরের দাগ, গলার চতুরদিকে কালো গোলাকৃতির দাগ, কপালে ফুলা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, বা মৃত্যুর আগে ধর্ষিত হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মৃতের চাচা রাজু আহামেদ মর্গে বলেন, পঞ্চগড় সদর উপজেলার কোনপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। সে স্থানীয় খানবাহাদুর মাদ্রাসা থেকে এসএসসি সমমান পরিক্ষায় পাস করেছে। ৩ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল ৩য়।
মৃতের চাচা আরও বলেন, আসমা গত রোববার সকাল থেকে নিখোজ ছিল। আজ সংবাদ পেয়ে এসে সনাক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, বাধন নামে স্থানীয় এক যুবক তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। বাঁধন ও একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। আসমা নিখোজের পর থেকে ঐ ছেলেকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তাদের পরিবার থেকে ধারনা করা হচ্ছে, বাধনই তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে হত্যা করেছে।