ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ ভাদ্র ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

৭ মে আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী


প্রকাশ: ৫ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


৭ মে আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী

   

স্টাফ রিপোর্টার : আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ মে) প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা  শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য বিতরণসহ কুরআন খানি ও মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিলের কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পরিবারের পক্ষ থেকে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন। পবিত্র কোরআনখানি, কালো ব্যাচ ধারণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও ইফতার বিতরণ।

আজ বুধবার ৬ মে ও  গতকাল মঙ্গলবার ৫ মে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ফাউন্ডেশন ও  শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে গাজীপুরের কর্মহীন ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি আজ পূবাইল, টঙ্গী এবং গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শ্রমজীবী ও পেশাজীবীসহ ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

মঙ্গলবার ৫ মে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান গাজীপুর প্রেসক্লাবে পেশাজীবীদের মাঝে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী করেন।

উল্লেখ্য, আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদ পুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে  হত্যা করে। পরে ২০০৫ সালের ১৬ মে  এই মামলার রায়ে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। ২০১৬ সালের  ১৫ জুন হাইকোর্ট ডিভিশন আসামীদের ডেথ রেফারেন্স , জেল আপীল ও আবেদনের শুনাণি শেষে ৬ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল এবং ৮ জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে  ১১ জনকে খালাস দেয়। 

বিচার চলাকালে ২জন  আসামী মারা যাওয়ায় তাদের আপীল নিষ্পত্তি করে দেয়া হয়। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামীর আপিল না থাকায় তার ব্যাপারে  আদালত  পূর্বের রায় বহাল রাখে।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে ও স্মৃতি পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক  ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল তার পিতার ১৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে সবাইকে দোয়া  করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।


   আরও সংবাদ