প্রকাশ: ৮ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছা এবং ঝিনাইদাহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার তিন ইউনিয়নের ত্রিসীমানায় অবস্থিত পুড়াপাড়া বাজার। প্রতি বছর সরকার লক্ষ-লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে এই বাজার থেকে। অথচ এই বাজারের রাস্তা গুলো খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। দেখে মনে হয় অভিভাবকহীন পরিত্যক্ত জনপদ। শত শত ব্যবসায়ী বাজারটিতে ব্যবসা করেন।
চৌগাছা উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার ও মহেশপুর উপজেলা সদর থেকে ১১ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত পুড়াপাড়া বাজার। পুড়াপাড়া বাজার ও এর পার্শবর্তী এলাকায় রয়েছে প্রায় ৬০ টি চাতাল ও ধান মাড়াই করা মিল।
এছাড়াও রয়েছে ২টি অটো রাইচ মিল। বাজারটিতে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার জনসাধারণ যাতায়াত করে থাকেন। বাজারে পাশেই রয়েছে কাটগড়া ডিগ্রী কলেজ, কাটগড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাটগড়া সরকারী কুঠি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মান্দারবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাজারটি রয়েছে সোনালী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের শাখা। বাওড় মৎস প্রকল্পের কাটগড়া বাওড় অফিস।
বেশ কয়েকটি এনজিও এবং বেসরকারী সংস্থার অফিস। বাজারটির চর্তুরদিকে রয়েছে ভারতীয় সীমান্তের ৪ টি বিজিবি ক্যাম্প। বিজিবি ক্যাম্প গুলোতে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি।
চৌগাছার সুখপুকুরিয়া ,নারায়ণপুর ও স্বরূপদাহ ইউনিয়ন এবং মহেশপুর উপজেলার মান্দার বাড়িয়া সহ কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ বাজারটিতে কেনা বেচা করে থাকেন।
দু’ উপজেলার সীমান্ত এই হাটটি থেকে ইজারা বাবদ বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব আয় হলেও এখানে উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি কতৃপক্ষ। সামান্য বৃষ্টিতেই বাজাটির মেইন বাসষ্ট্যান্ডসহ সকল সংযোগ সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এখানে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যাবস্থা না’থাকায় প্রতিদিন বাজারে চলাচলকারীদের নানামুখী সমস্যয় পড়তে হয়।
পুড়াপাড়া বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী জাহিদুর রহমান, হোটেল ব্যবসায়ি আব্দুল কাদের , কাটগড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মালেক,ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যকলাপে জড়িত রাজু আহমেদ প্রমুখ ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারটির পাশঘেষেই রয়েছে এলাকার ঐতিহ্যবাহি কাটগড়া বাওড়। বাজার থেকে একটি ড্র্রেন বাওড়ে নামিয়ে দিলে বাজারে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হয়।
তারা আরো বলেন, বাজারটি দক্ষিন পাশ চৌগাছা উপজেলা মধ্যে আর বেশির ভাগই মহেশপুর উপজেলার অংশ।
জানতে চাইলে সুখপুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোতা মিয়া বলেন ‘ভাঙ্গা অংশ আমার ইউনিয়নের মধ্যে নয়। আমার জানামতে সড়কটির সংস্কার কাজ প্রক্রিয়াধীন ছিল। করোনার কারনে এখন স্থগিত রয়েছে’।
মহেশপুর উপজেলার স্থানীয় ইউপি সদস্য মাও. আব্দুল কাদের জানান, এলজিইডির এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মহেশপুর উপজেলার মধ্যে থাকলেও সড়কটি আইডি চৌগাছা উপজেলার অর্ন্তভূক্ত।
তিনি আরো জানান, সড়কটি ভেঙ্গে খানা খন্দে পরিনত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বুঝার উপায় থাকেনা এটি একটি রাস্তা নাকি মাছের ঘের। এজন্য সড়কটি সংস্কার খুবই জরুরী।
মান্দার বাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ছোট খাঁট কাজ করি এই বাজার উন্নয়নের কাজ আমার না। কবে নাগাদ ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কার হবে সে বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা এলজিইডি অফিস কিছুই বলতে পারেন নি।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রুজিন আলী বলেন, হাটের সড়কও বাজার অবকাঠামোর উন্নয়ন না হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী,ক্রেতা পুড়াপাড়া বাজারে আসতে চাই না ফলে আমাদের বেঁচা কেনা কমে গেছে।