ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শার্শায় পাগল ও কুকুরের মাঝে খাবার বিতারণ করেন উদ্ভাবক মিজানুর


প্রকাশ: ৮ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


শার্শায় পাগল ও কুকুরের মাঝে খাবার বিতারণ করেন উদ্ভাবক মিজানুর

   

 

আশানুৱ ৱহমান আশা বেনাপোল : যশোরের শার্শা উপজেলার দেশ সেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান। বাবা আক্কাস আলীর মতোই ইঞ্জন মিস্ত্রি হতে চেয়ে ছিলেন কিন্তু হয়ে ওঠেন মোটর সাইকেলের মিস্ত্রি। আর পরে হয়ে যান উদ্ভাবক। উদ্ভাবন করছেনে স্বয়ংক্রয়ি সেচযন্ত্র, জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিবেশ বান্ধব ‘গাড়ি, জ্বালানিবিহীন সেচ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্র, ডিজিটাল কাইচি।

এবার কুকুর,পাগল ও ভবঘুরে মানুষের মাঝে এক বেলা খাবার তুলে দিচ্ছেন। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে অসহায় হয় পড়েছে দিনমজুর ও শ্রমজীবি মানুষ।

শার্শা উপজলোর সব জায়গাতেই থেমে গেছে মানুষের কোলাহল।বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, হোটেল, রেস্টুররন্ট, বেকারি।এতে করে খাদ্য সংকটে পড়েছে পাগল, ভবঘুরে মানুষ ও বেওয়ারিশ কুকুরগুলো। হোটেল-বেকারির উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়েই বেচে থাকতাে এ প্রাণীটি।

রাস্তায় যখন মানুষ চলাচল ছিল কেউ না কেউ এই অসহায় পাগল গুলোর মুখ খাবার তুলে দিতো।

আজ সবই বন্ধ তাই মানবকি কারণে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শহর,গ্রামগঞ্জে গিয়ে পাগল ও অভুক্ত কুকুরদের খাবার দিয়ে যাচ্ছেন।

শার্শা উপজলোর সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন,উদ্ভাবক মিজান অভুক্ত কুকুর,পাগল,ও ভবঘুরেদের খাবার দিচ্ছেন।করোনার সময় দীর্ঘ হওয়ায় যাতে তাদের খাবার দেওয়া বন্ধ না হয় সেজন্যই আমরা তাকে সহযোগিতা করছি।

টানা এক মাস ধরে বেনাপোল বাজার,শার্শা উপজলো সদর, নাভারন ও বাগআচড়া বাজারের ৬০-৭০টি কুকুরকে বিস্কুট, পাউরুটি, খিচুড়িসহ বিভিন্ন খাবার খাওয়াচ্ছেন। এসব বাজারের পাগল ও ভবঘুরে মানুষের জন্য সাদা ভাত, খচিুড়ি রান্না করে তাদের কাছে পৌছে দিচ্ছেন।

মজিানুর রহমান মজিান বলনে, লকডাউনের শুরু থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিলি,মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার ও সাবান দিতে গিয়ে দেখেছি হাট বাজারে পাগল ও কুকুরগুলো অনাহারে কাঁদছে,খাবারের জন্য। অনুভব করলাম এদরেও ক্ষুধা আছ, “করোনা ভাইরাসের জন্য যখন রাস্তায় কোন মানুষই নেই এই মুহূর্তে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো খুবই জরুরী, তাই সেদিন থেকেই এদের জন্য খিচুড়ি রান্না করে বেরিয়ে পড়ি।এ পর্যন্ত কুকুর গুলোকে একবেলা করে খাবার দিয়ে যাচ্ছি।

মিজান বলনে, ‘কুকুরগুলো আমাকে অসম্ভব ভালোবাসে। রাস্তায় যখনই বের হই তারা আমার পিছু নেয়। ওদের ভালোবাসা পেয়ে আমি মুগ্ধ।

আমার এই কাজে সহযোগিতা করেছেন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল, এসিল্যান্ড খোরশেদ আলম চৌধুরী ও ফেসবুক বন্ধুরা।

শার্শা উপজলো নর্বিাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, দেশসেরা উদ্ভাবক মিজান উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে যেসব কুকুর ও ভবঘুরে পাগল থাকে তাদের মাঝে প্রতিদিন খাবার সরবরাহ করছেন।উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করার প্রয়োজন আমরা করছি।


   আরও সংবাদ