ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

কেপিএম'র চাহিদা পূরণ করে অন্য প্রতিষ্ঠানকেও দেওয়া হবে জীবাণুনাশক


প্রকাশ: ৯ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


কেপিএম'র চাহিদা পূরণ করে অন্য প্রতিষ্ঠানকেও দেওয়া হবে জীবাণুনাশক

   

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের করােনা পরিস্থিতিতে কারখানার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জীবাণুনাশক ব্লিচ উৎপাদন শুরু করছে কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড-কেপিএম। উৎপাদিত জীবাণুনাশক ব্লিচ হতে নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি প্রয়োজনে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও সরবরাহ করা হবে।

রোববার (১০ মে) দুপুরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার এ এইচ এম মাসুম বিল্লাহ এ তথ্য জানান।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ  কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে কেপিএম-কে নির্দেশনা প্রদানের প্রেক্ষিতে কারখানাটি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। 

কেপিএম-এর সূত্রে জানা যায়, জীবাণুনাশক ব্লিচ উৎপাদনের জন্য ১৫ এপ্রিল হতে কারখানাটির অব্যবহৃত ব্লিচ উৎপাদনের প্লান্টটির সিভিল, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল রক্ষণাবেক্ষণের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ৩০ এপ্রিল এক ব্যাচে এক টন ক্যালসিয়াম হাইপাে ক্লোরাইটের ব্লিচ লিকার উৎপাদন করা হয়। প্ল্যান্টটিতে পূর্বে পাল্প সাদা করার জন্য ব্লিচ উৎপাদন করা হতো। কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, যানবাহন জীবানুমুক্তকরনসহ কারখানার পরিবেশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা  বজায় রাখার কাজে এই জীবাণুনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে।  

বিসিআইসি'র সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ ইং সালের শুরুতে কারিগরী সমস্যার কারণে ব্লিচিং প্ল্যান্ট, কেমিক্যাল রিকোভারি ও ব্লিচিং টাওয়ারের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্লিচ প্রিপারেশন প্ল্যান্টের উৎপাদন কার্যক্রমও স্থগিত রাখা হয়। কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেডের পাল্প মিলসে উৎপাদিত পাল্প সাদা করার জন্য ক্যালসিয়াম হাইপাে ক্লোরাইটের ব্লিচ ব্যবহার করা হয়। ক্লোরিন অত্যন্ত ক্ষয়কারক গ্যাস হওয়ায় প্ল্যান্টের পাম্প, মােটরসহ অন্যান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কেপিএম'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ড. এম এম এ কাদের বলেন, কর্ণফুলী পেপার মিলস বর্তমানে আমদানিকৃত পাল্প ও রিসাইকেল পেপার হতে কাগজ উৎপাদন করছে। তিনি বলেন, গত তিন বছরের মধ্যে চলতি অর্থবছরে ৯ মে পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫৭৮৫ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদিত হয়েছে। গত ২০১৭-'১৮ ও ২০১৮-'১৯ অর্থবছরে কাগজ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩১৮২ ও ৫৬৩৫ মেট্টিক টন। উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে চলতি  অর্থবছরে সাড়ে সাত হাজার থেকে ৮ হাজার মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদিত হতে পারে বলে তিনি জানান।

ড. কাদের আরও বলেন, স্থানীয়ভাবে কাগজ উৎপাদনের কাঁচামাল কাঠের সরবরাহ নিশ্চিত করতে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে নিজস্ব বীজতলায় উৎপাদিত চারা রোপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় ২০১৭-'১৮ ও ২০১৮-'১৯ অর্থবছরে মোট তিন লাখের অধিক গাছের চারা কেপিএম'র পাহাড়ি এলাকা ও পতিত জমিতে রােপন করা হয়েছে। আগামী জুলাই থেকে আরও দেড় লাখ গাছের চারা রোপণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে কারখানাটির  ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান।  


   আরও সংবাদ