প্রকাশ: ১০ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
মণিরামপুর যশোর থেকে আব্বাস উদ্দীন : মণিরামপুরের বহুল আলোচিত পুলিশের জব্দকৃত ৫৪৯ বস্তা চালের এখন বেহাল দশা। আইনি জটিলতায় মাসাধিক কাল ধরে থানা চত্বরের খোলা আকাশের নিচে থেকেই তা নষ্ট হবার উপক্রম।
জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল মণিরামপুর পৌর এলাকার ভাই ভাই চাতালে সরকারি সিলযুক্ত ট্রাকভর্তি ৫৪৯ বস্তা চাল গুদামজাত করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ এই বস্তাভর্তি চালসহ ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ সময় পুলিশ ওই চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ট্রাক ড্রাইভার ফরিদ উদ্দীনকে আটক করে।
এ ঘটনায় মণিরামপুর থানার এসআই তপন কুমার সিংহ বাদি হয়ে ওই রাতেই অজ্ঞাতানামাসহ আটক দু’জনের নামে মামলা করেন। যার মামলা নং-০৪। পরবর্র্তীতে মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর হলেও উদ্ধারকৃত ট্রাকভর্তি চাল খোলা আকাশের নিচে থেকে রোদে-বৃষ্টিতে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ ঘটনার পরদিন আটক দু’জনের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত এদিন শুনানি শেষে আটক দু’জনের ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আটক চাতাল মালিক মামুন এই চাল কান্ডে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মুন্না, রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও জগদীশ দাসের নাম উল্লেখ করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। মামুনের স্বীকারোক্তিতে এই তিনজনকে মামলায় আসামী করা হয়। গত ২০ এপ্রিল মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর হয়।
এদিকে চাল উদ্ধারের পর থেকে এখনও চালের বিষয়ে কোন আইনি সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ট্রাকভর্তি সেই ৫৪৯ বস্তা চাল থানা চত্ত¡রে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে নষ্ট হতে চলেছে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মামুন হোসেন খান বলেন, খোলা আকাশের নিচে ত্রিপল দিয়ে ঢাকা এ চাল রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাবে।
মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, যেহেতু মামলা এখন ডিবি পুলিশের কাছে। সুতরাং এ ব্যাপারে থানার কিছুই করার নেই।