ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসছে ফ্রান্স, খুলেছে কারখানা ও স্কুল


প্রকাশ: ১০ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসছে ফ্রান্স, খুলেছে কারখানা ও স্কুল

   

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে লকডাউন থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে ফ্রান্স। দেশটিতে ইতোমধ্যে খুলেছে দোকান, কারখানা ও কিছু স্কুল। তবে দ্বিতীয়বার যেন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা না দেয়, এ নিয়ে সতর্ক রয়েছে দেশটি।

সোমবার (১১ মে) কিছু অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করেছে ফ্রান্স। বলে জানান সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পঞ্চম সর্বাধিক মৃত্যুর এ দেশটি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধাপে ধাপে কর্মক্ষেত্রে ফিরতে এবং স্কুল খুলতে শুরু করেছে। দেশটির ৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এখন সরকারের অনুমতি ছাড়াই বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন।

আজ সোমবার সকালে প্যারিসে যানবাহনের চলাচল বাড়ে। দোকান খোলার আগে কর্মীরা ব্যস্ত ছিলেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে।

রাজধানীর মেট্রোলাইনে ভিড় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা কম ছিল। যাত্রীদের মাস্ক পরে থাকতে হয়েছে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে চিহ্ন এঁকে দেওয়া নির্দিষ্ট আসনে বসতে হয়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে আট সপ্তাহ লকডাউনে ছিল ফ্রান্স। খাবার, ওষুধের মতো জরুরি প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া সব বন্ধ ছিল।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৩৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে সংক্রমণ এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণে (ইউসিইউ) থাকা রোগীর সংখ্যা কমতে থাকায় লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে পেশাগত কাজ, শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান ও রোগীর সেবাদানকারীরা ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার বা ৬২ মাইল দূরে যাতায়াত করতে পারবেন।

সংক্রমণ কম এমন অঞ্চলগুলোতে এ সপ্তাহে খুলেছে কিন্ডারগার্টেন ও প্রাইমারি স্কুল। চলতি মাসেই জুনিয়র হাইস্কুলও খুলবে। শ্রেণিকক্ষে ১৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকতে পারবে না এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরে থাকতে হবে।

প্যারিসসহ বেশকিছু অঞ্চল এখনো ‘রেডজোন’ বা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। দেশজুড়ে যাদের পক্ষে সম্ভব, তাদের বাড়ি থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছে।

চলতি বছরে ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটি ৮ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেশকে অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন ম্যাক্রোঁ।

তবে করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় তার উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ‘লে একোস’ সংবাদপত্র পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যায়, মে মাসে ম্যাক্রোঁর জনপ্রিয়তা কমেছে ৩৪ শতাংশ।


   আরও সংবাদ