ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার শুনানি এ বছরই


প্রকাশ: ২০ অগাস্ট, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার  শুনানি এ বছরই

   

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পেপারবুক তৈরির কাজ দুই থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারিক আদালত যদি কাউকে ফাঁসি দেন তবে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী সেই মামলা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্ট ডিভিশনে চলে যায়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলা; এখানে রায়ে কিছুসংখ্যক আসামির ফাঁসি হয়েছে, কিছু সংখ্যক আসামির যাবজ্জীবন হয়েছে। ফাঁসি হওয়ার কারণে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে চলে গেছে।

তিনি বলেন, যারা যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন, তারাও আপিল করেছেন। হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ম হচ্ছে ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলটাকে একসঙ্গে ট্যাগ করে তারা শুনানি করে। সে ক্ষেত্রে কিছু ফর্মালিটিজ আছে, যেগুলো কমপ্লিট করতে হয়, যেমন ধরেন, যাদের ফাঁসি হয়েছে, তাদের পেপারবুক সরকারের তৈরি করে দিতে হয়, বিজিপ্রেসের তৈরি।

এই পেপারবুকে মামলার যাবতীয় কাগজ থাকে। এটা তৈরি করার পর মামলাটা শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়, তারপর শুনানি হয়, যোগ করেন মন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, আমি এইটুকু বলতে পারি, এই মামলার পেপারবুক তৈরি হওয়ার জন্য যে আনুষঙ্গিক কার্যক্রম, সেটা শুরু হয়ে গেছে। যেমন- কাগজপত্র আসার পর এখানে কাগজপত্র সর্টিং হয়, সব কাগজপত্র সর্ট করার পর এটা বিজি প্রেসে চলে যায়। সেক্ষেত্রে আমি এইটুকু বলতে পারি, সেই কাজ শুরু হয়ে গেছে।

পেপার বুক তৈরিতে ইতোমধ্যে ১০ মাস চলে গেছে, আর কত সময় লাগবে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই টাইমটুকু কিন্তু লাগে। আমরা চেষ্টা করব, যত তাড়াতাড়ি পারা যায়। আমার কাছে যতদূর সংবাদ আছে, এটা ২ থেকে ৪ মাসের মধ্যে রেডি হয়ে যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানসহ সব সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। সেসব জটিলতা কাটিয়ে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।


   আরও সংবাদ