ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অভয়নগ‌রে চরমপন্থী দ‌লের সা‌বেক এক সদস্যকে কু‌পি‌য়ে হত্যা


প্রকাশ: ১১ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


অভয়নগ‌রে চরমপন্থী দ‌লের সা‌বেক এক সদস্যকে কু‌পি‌য়ে হত্যা

   

যশোর থেকে খান সাহেব : যশোরের অভয়নগরে চরমপন্থী দলের এক সাবেক সদস্য খুন হয়েছেন।

সোমবার রাতে উপজেলার মোয়াল্লেমতলা গ্রামে নিজের বাড়ির সামনে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম শেখ আতিয়ার রহমান ওরফে আতাই (৫৭)। তিনি উপজেলার মোয়াল্লেমতলা গ্রামের শেখ ইসমাইল হোসেনের ছেলে। অভয়নগর উপজেলার রাজঘাটে অবস্থিত রাস্ট্রায়ত্ত পাটকল যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজে(জেজেআই) তিনি বদলি শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশের ভাষ্য, খুনের বদলা নিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় শেখ আতিয়ার রহমান উপজেলার মোয়াল্লেমতলা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। সাড়ে সাতটার দিকে কয়েকজন সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। 

স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার রাতে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পুলিশ জানায়, যশোরের অভয়নগর উপজেলার রাজঘাট এবং খুলনার ফুলতলা উপজেলার উত্তরডিহি, পায়গ্রাম কসবা ও ফুলতলা বাজার এলাকায় ২০১৪ সালের আগে শেখ আতিয়ার রহমান এবং তার শ্যালক গিয়াস উদ্দীন চরমপন্থী একটি দলের সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। গিয়াস উদ্দীন দলটির একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন। একই সময় ওই এলাকায় আর একটি গ্রুপের নেতৃত্ব ছিলেন নিশান নামে অপর এক চরমপন্থী। 

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালে গিয়াস উদ্দীন ও তার দলের সদস্যদের হাতে নিশান খুন হন। ওই হত্যা মামলায় পরিবারের কেউ মামলা না করায় অভয়নগর থানা পুলিশ বাদী হয়ে গিয়াস উদ্দীন, শেখ আতিয়ার রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। মামলার পর গিয়াস উদ্দীন ও শেখ আতিয়ার রহমান ভারতে পালিয়ে যান। সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে আদালতে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। 

মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় প্রায় এক বছর আগে শেখ আতিয়ার রহমান ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর নিজের বাড়িতে থেকে তিনি যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজে বদলি শ্রমিকের কাজ করছিলেন।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তাজুল ইসলাম  বলেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নিহত চরমপন্থী নিশানের খালাতো ভাই লিমন ও তার দুই সহযোগী আতিয়ার রহমানকে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা আতিয়ারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। 

অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


   আরও সংবাদ