ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ ভাদ্র ১৪৩১, ৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জরিমানা ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন আতংকে মণিরামপুরের বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা


প্রকাশ: ১৩ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


জরিমানা ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন আতংকে মণিরামপুরের বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা

   

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করলে জরিমানা গুনতে হতে পারে। বিল পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে এমন আতংক ছড়িয়ে পড়েছে মণিরামপুরের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে। যা প্রাণঘাতী করোনা’র আতংককেও হারা মানিয়েছে। 

তাইতো করোনা’র আতংককে পিছনে ফেলে বহু দুর-দুরান্ত থেকে বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা সেই কাক ডাকা ভোর থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (যপবিস-২) মণিরামপুর সদর দপ্তরে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে বিল পরিশোধের জন্য ধর্না দিচ্ছেন। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে গ্রাহকরা বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার যপবিস-২ এর সদর দপ্তরে কয়েকশ’ নারী-পুরুষকে এ ভাবে লাইনে দাড়িয়ে  বিল দিতে দেখা গেছে। 

ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ গ্রাহক হালসা গ্রামের বাবলু, ঘুঘুরাইলের তরিকুল, কাশিপুরের রিয়াদ জানান, চলতি মাসের ১৬ তারিখের মধ্যে বিল পরিশোধ করা না হলে পরবর্তিতে জরিমানাসহ বিল দিতে হবে যপবিস-২-এর কর্তৃপক্ষের মাইকে এমন ঘোষনার পর ধার-দেনা করেই তারা বিল পরিশোধ করছেন। তাছাড়া বিল পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার আতংকেও রয়েছেন অনেকেই।  তাছাড়া যপবিস-২ কর্তৃপক্ষ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চত না করেই দীর্ঘ লাইনে দাড় করিয়ে বিল নেয়ায় অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

করোনার কারনে কাজ নেই। অভাব-অনটন লেগেই আছে। তারপর সামনে ঈদ। ঈদের পর জরিমানা ছাড়া বিল নিলে কি এমন ক্ষতি হতো বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। 

বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেবার অভিযোগ অস্বীকার করে করে যপবিস-২-এর জেনারেল ম্যানেজার অরুণ কুমার কুন্ডু বলেন, করোনার কারনে ব্যাংকগুলোতে বিল না নেয়ায় ভীড় হচ্ছে। তবে, অচিরেই ভীড় কমাতে উপজেলার আরো কয়েকটি স্থানে বিল নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।


   আরও সংবাদ