ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

মণিরামপুরে বিদ্যুৎ বিল দিতে আসা গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড়


প্রকাশ: ১৬ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


মণিরামপুরে বিদ্যুৎ বিল দিতে আসা গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড়

   

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের তাগিদ দিয়ে এলাকায় মাইকিং করার পর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য মণিরামপুরের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে হিড়িক পড়ে গেছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিগত দেড় দুই মাস করোনা মোকাবেলায় লকডাউনের কবলে পড়ে ঘর থেকে বের হতে না পেরে বিগত দুই মাসের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে তাই এখন অনেকটা ব্যতি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। 

বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করলে জরিমানা গুনতে হতে পারে কিংবা  বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে এমন আতংকও কাজ করছে অধিকাংশ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে। 

রবিবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় সরেজমিন যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২(যপবিস-২) মণিরামপুর সদর দপ্তরে যেয়ে দেখা যায় বহু দুর-দুরান্ত থেকে প্রচুর সংখ্যক বিদ্যুৎ গ্রাহক নারী-পুরুষ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য সেই সকাল থেকে এসে সারিবদ্ধভাবে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে আছেন।

সামাজিক দুরত্ব যথাযথভাবে বজায় রাখতে পুরুষ গ্রাহকদের জন্য বাঁশ দিয়ে ঘিরে লম্বা লাইন দিয়ে একে একে বিল নেওয়া হচ্ছে। আর পাশে রয়েছে নারীদের জন্য আর একটি দীর্ঘ লাইন। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, এদিন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা একটু বিলম্ব হলেও তাদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল সুষ্ঠুভাবে দিতে পেরেছেন। 

তবে অনেকেই বহু সময় লাইনে অপোয় থেকে রোজা রমজানের মধ্যে গরমে কষ্ট পেতে হয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তাদের অধিকাংশেরই অভিযোগ ব্যাংক যদি বিদ্যুৎ বিল নিতো তাহলে এতো ভোগান্তি পোহাতে হতো না। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৬ মে পর্যন্ত সময় সীমা বেঁধে দেওয়ার পর তা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ১৭ মে গ্রাহকদের কোন প্রকার জরিমানা গুনতে হয়নি। বিদ্যুৎ বিল দিতে আসা উপজেলার লাউড়ী গ্রামের বাবুল, তাহেরপুরের লতিফ ও হালসা গ্রামের হাবিবুর জানান, শুনেছিলাম ১৬ মে তারিখের মধ্যে বিল না দিলে জরিমানা দিতে হবে। 

একটু দেরিতে আজ বিল দিতে এসে জরিমানা বাদেই বিল দিতে পেরেছি। লাইনে দাড়িয়ে বিল দিতে দেরী হলেও কোনা বাড়তি ঝামেলা হয়নি। এ সময় বিল দিতে আসা গ্রাহকদের সামাজিক দুরত্ব ও শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য কয়েকজন  প্রহরী ও কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। কথা হয় যপবিস-২ এজিএম এডমিন বিশ্বাস রিয়াজুল ইসলাম রাজুর সাথে। 

তিনি জানান, আমরা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে গ্রাহকদের সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাড় করিয়ে তাদের বিদ্যুৎ বিল কোন প্রকার বিড়ম্বনা ছাড়াই গ্রহণ করার চেষ্টায় আছি। 

যপবিস-২(মণিরামপুর)এর জেনারেল ম্যানেজার অরুণ কুমার কুন্ডু বলেন, করোনা’র কারনে ব্যাংকগুলোতে বিল না নেয়ায় ভীড় হচ্ছে। ব্যাংক বিল না নিলে আমাদের কী করার আছে। তবে, আমরা উপজেলার ঢাকুরিয়া, নেহালপুরসহ মণিরামপুর সদর অফিসে বিল গ্রহণের জন্য অতিরিক্ত বুথ খুলেছি। বিদ্যুৎ খাততে সচল রাখতে সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিল গ্রহণ করা হচ্ছে। 

জরিমানা কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মতো কোন সিদ্ধান্ত আপাতত নেই। গ্রাহকরা তাদের নিজেদের দ্বায়বদ্ধতা থেকে বিল দিতে আসছে। এ জন্যে ভীড় হচ্ছে। আমরা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। 

অতিরিক্ত বিলের ব্যাপারে কোন অভিযোগ কারো থাকলে সেগুলোর ব্যাপারেও সমাধান করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


   আরও সংবাদ