ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ টেকসই করার লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প জাহিদ


প্রকাশ: ২৭ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ টেকসই করার লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প জাহিদ

   

স্টাফ রিপোর্টার : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, "ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ টেকসই করার লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাঁধ মেরামত কাজ দ্রুততায়নের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়া হচ্ছে। কিন্ত বৈশ্বিক জলবায়ুগত পরিবর্তনে দুর্যোগ এখন নিয়মিত হচ্ছে। তাই আমরা টেকসই সমাধানকল্পে কাজ করে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সাতক্ষীরার সদর উপজেলার হাড়াদ্দাহ, শ্যামনগরের তাতিনাখালী, কামালখাটি; আশাশুনি উপজেলার হাজরাখালী, দয়ালঘাট, পদ্মপুকুর ও খুলনার কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ এলাকা স্পিডবোটযোগে পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা অর্থনৈতিভাবে সফল। তাই জনবান্ধব প্রকল্প হাতে নিতে পারছি যাতে আগামীতে এমন জনদুর্ভোগ না হয়। বাঁধ শক্তিশালীকরণ ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বেশি করে বৃক্ষ রোপন করতে হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন আম্পান আঘাত হানার সাথে সাথে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে এবং পানি সম্পদ সচিব সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আজ আমি নিজে এসেছি সরাসরি পরিদর্শনে কোথায় কি প্রতিবন্ধকতা তা নিরূপন করতে। 

এ সময় সাতক্ষীরার-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (বাপাউবো) হাবীবুর রহমান, উপসচিব নুর আলম, জেলা প্রশাসক (সাতক্ষীরা) এস এম মোস্তফা কামাল, প্রধান প্রকৌশলী (খুলনা) রফিক উল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী (সাতক্ষীরা) আবুল খায়ের, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু জার গিফারী, আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিম, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ মে বুধবার প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া, ভোলামারা, দক্ষিণ বড়মাছুয়া এবং খেজুরবাড়িয়া পরিদর্শন করেন। 

প্রসঙ্গত, খুলনার কয়রা, দাকোপ এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় আনুমানিক ১৭০ জায়গায় প্রায় ৯৯টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধুমাত্র উপকূলাঞ্চলের সমস্যা নিরসনের জন্য মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প  আছে যা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আছে।


   আরও সংবাদ