ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অসামরিক নাগরিকদের প্রশিক্ষণ অবশ্যই বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে : ফাতিমা


প্রকাশ: ১ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


অসামরিক নাগরিকদের প্রশিক্ষণ অবশ্যই বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে : ফাতিমা

   

কূটনৈতিক প্রতিবেদক : "অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে কার্যকর প্রশিক্ষণ হতে হবে স্থানীয় বাস্তবতা ও উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। 

এসকল প্রশিক্ষণে অবশ্যই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে সহজে খাপ খাওয়ানোর মতো সক্ষমতা থাকতে হবে”– 

আজ ‘অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণের চ্যালেঞ্জ এবং সর্বোত্তম অনুশীলনসমূহ নির্ণয় (Training for the protection of civilians: Assessing the challenges and best practices of contributions to UN peacekeeping training)’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রদত্ত সমাপনী বক্তব্যে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। 

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস্, রুয়ান্ডা ও উরুগুয়ে মিশন; আর এতে সহযোগিতা প্রদান করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডাচ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক- প্যাক্স (PAX)।

অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদানের বিষয়টি শান্তিরক্ষীদের প্রাক-মোতায়েন প্রশিক্ষণের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অঙ্গীকার রয়েছে তা পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এ প্রসঙ্গে তিনি চাহিদা মাফিক প্রশিক্ষণ, যৌথ অনুশীলন, এবং কারগিরি সহযোগিতা প্রদানের ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট)’ এর সাথে জাতিসংঘসহ অন্যান্য সৈন্য/পুলিশ প্রেরণকারী দেশসমূহের ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করেন। 

সংঘাতগ্রস্থ দেশসমূহে এবং ভঙ্গুর প্রেক্ষাপটে অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়টিকে তিনি অংশীদারিত্বমূলক দায়িত্ব হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেন। সক্ষমতা ও সম্পদের ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদ, সৈন্য/পুলিশ প্রেরণকারীদেশসমূহ ও জাতিসংঘ সচিবালয়ের মধ্যের অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার উপর জোর দেন তিনি। 

কোভিড-১৯ জনিত সঙ্কটের কারণে সৃষ্ট সুনির্দিষ্ট কিছু চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে বাড়তি সক্ষমতা, প্রশিক্ষণ সুবিধা, পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদিসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা এবং শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষার মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করার উপরও জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘ সচিবালয় এবং থিঙ্ক-ট্যাঙ্কসমূহের শতাধিক প্রতিনিধি ইভেন্টটিতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠাটিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ডস্ এর স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ক্যারেল জে.জি. ভ্যান ওসতারোম (Karel J.G. van Oosterom), এবং উরুগুয়ের স্থায়ী প্রতিনিধি কার্লোস অ্যামোরিন (Carlos Amorín)।
 


   আরও সংবাদ