প্রকাশ: ২৩ অগাস্ট, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : পদ্মা নদী পাড় হয়ে কাঠালবাড়ি এলাকায় পৌঁছানোর পর পুলিশ পরিচয়ে টর্চ লাইট দিয়ে সিগনাল দিয়ে, গাড়িসহ মহাসড়ক থেকে অপহরণ করা হয় এনায়েত উল্লাহকে।
পরবর্তীতে গাড়ি বাদেই মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১ টায় রাজধানীর কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে অপহৃত এনায়েতুল্লাহ (৩২) সর্ম্পকে এসব তথ্য দেন র্যাব-৪'র সিইও অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
অপহরণের বর্ণনা দিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, চার দিন আগে মিরপুর এলাকা থেকে ২ জন লোক যাত্রীবেশে এনায়েতুল্লাহর গাড়ি ভাড়া করে। এনায়েত উল্লাহ গাড়ি নিয়ে পদ্মা পাড় হয় রাত আনুমানিক ২ টার দিকে।
কাঠালবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে সেখানে মহাসড়কে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সিগন্যাল দেন আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়দানকারী ভুয়া তিন সদস্য।
র্যাব জানায়, এই অপরাধী চক্রের তিন সদস্য সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। পরে ভিকটিমকে মাদারীপুর জেলার শিবচরের দত্তপাড়া চর এলাকার কাশবন এর পাশে একটি ছোট ঘরে আটকে রাখে। প্রাইভেটকারটি ফরিদপুরের আটরশি জাকের মঞ্জিলের পার্কিংয়ে রাখে।
র্যাব ৪'র এই প্রধান বলেন, অপরাধী চক্রের সদস্যরা ভিকটিমের বাড়িতে ফোন দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, না হলে তাকে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এসময় ভিকটিমকে পিটিয়ে তার বাবা মার কাছে ফোন দিয়ে কাঁন্নার শব্দ, চিকিৎকার শোনায়।
(২০ আগস্ট) ওই মোবাইল ফোন নাম্বার এর জের ধরে ৫২ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে অপহৃত ভিকটিমকে মুক্ত ও ফরিদপুর থেকে প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করে র্যাব।
এ সময় অপহরণকারীর চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করে র্যাব। আটককৃতরা হলেন, শাহ জালাল (৩২), ফয়সাল (২২), জয়নাল হাজারী (৩০) ও রাকিব (২২)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫ টি দেশীয় অস্ত্র ও ৩ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা জানায়, ভিকটিমকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে, মৃত্যুর ভয় দেখায়। পরে তাকে ও গাড়িটি পৃথকভাবে পূর্বনির্ধারিত নিরাপদ স্থানে রাখে।
শারিরীক অত্যাচার করে ভিকটিমের বাবা- মা আত্মীয়দের কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। না দিলে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এর আগেও তারা এই ভাবে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে বলে তারা স্বীকার করে।