ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের সফল যাত্রা শুরু


প্রকাশ: ৫ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের সফল যাত্রা শুরু

   

স্টাফ রিপোর্টার : স্বেচ্ছায় রক্তদাঁতাদের সংগঠন বাঁধন ও ৩০টি ইলেকট্রনিক মিডিয়া (টিভি) সাংবাদিকদের সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, শেখ হাসিনা বার্ন ইনিস্টিটিইট, গাজী গ্রুপস ও সবাই মিলে সবার ঢাকা' এর সার্বিক সহযোগিতায় দেশময় প্লাজমা থেরাপি নিয়ে কাজ শুরু করা 'প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার' এর প্রথম সফলতা। 

গত তিন দিন প্রায় পাঁচটি চাহিদার বিপরীতে পাঁচজন কোবিট থেকে সুস্থ হওয়া রোগী স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্লাজমা ডোনেশনে এগিয়ে এসেছে। গতকাল (০৫ জুন) দুজন এসেছিলেন নারায়নগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ থেকে। তবে তাঁদের একজনের ভেইন জটিলতার কারণে রক্ত দিতে পারেন নি এবং অন্যজন রোগীর রক্তের গ্রুপ ভুল থাকার কারণে। তবে তাঁরা ভবিষ্যতে আমাদের আহব্বানে সাঁড়া দিতে প্রস্তুত।

আজ দুজন সম্মানিত প্লাজমা ডোনার তাঁদের শরীর থেকে ৫ ইউনিট প্লাজমা ডোনেট করেছেন। যার দুটি ইউনিট ইতিমধ্যে দুজন রোগীর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বাকী তিন ইউনিট আরো তিন জন রোগীর প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। 

করোনার এই মহামারীর রুখতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ ও সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার। কোবিট থেকে সুস্থ হওয়া রোগীরা আমাদের সেই সম্পদ। আমরা এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে এগিয়ে যেতে চাই। 

আজ যারা প্লাজমা দানে এগিয়ে এসেছেন তাদের জন্য শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা এবং যাদের সুযোগ হয়নি তারা এগিয়ে আসবেন। আপনি একমাসে ৬ জন রোগীর জীবন বাঁচাতে ভূমিকা রাখবে। দূঃখ প্রকাশ করছি যারা নেগেটিভ রক্তের চাহিদা দিয়েছিলেন তাদের জন্য।  আমাদের কাছে নেগেটিভ রোগীদের  কোনো ডেটা এখন পর্যন্ত আসেনি।


যদিও আমাদের কর্ম এলাকা দেশব্যাপী, তথাপি ঢাকার বাইরে রক্তের সেল সেপারেশনের সুযোগ না থাকায় সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। গতকালে একজন উপসচিব বগুড়ায় একব্যাগ B+ প্লাজমার জন্য ফোন দিয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকা থেকে প্লাজমা নেয়া যাবে না আবার বগুড়াতেও প্লাজমা আলাদা করা যাবে না। তাই ডোনার থাকা সত্ত্বেও তাকে সহযোগিতা করতে পারি নি। 

তিনি বুঝতে পারলেন ঢাকার বাইরে প্লাজমা থেরাপির সুযোগ সীমিত বা নেই বললেই চলে। একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা ও অন্যান্য চিকিৎসাই সম্বল।

"প্লাজমা দিন কোবিড আক্রান্ত রোগীর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।"


   আরও সংবাদ