ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্যাম্পাস খুললে বাসা ভাড়া নিয়ে কথা হবে : জবি ভিসি


প্রকাশ: ৮ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ক্যাম্পাস খুললে বাসা ভাড়া নিয়ে কথা হবে : জবি ভিসি

   

জবি প্রতিনিধি : করোনায় মেস ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আমরা এটা নিয়েই বেশি জোর দিচ্ছি। ক্যাম্পাস খুললে বাসা ভাড়া সমস্যা নিয়ে কথা বলবো। 

দেশের একমাত্র অনাবাসিক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, যে শিক্ষার্থী এখন টিউশনির কথা বলে বাসা ভাড়া দিতে পারছে না, সে ক্যাম্পাস খুললেও বাসা ভাড়া দিতে পারবে না। কারণ, ক্যাম্পাস খুললেই টিউশনি পাবে না সবাই।

এদিকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রশাসনিক হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। জানা যায়, মেস ভাড়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পাশ্ববর্তী থানায় অভিযোগ জানিয়ে আরও বাড়তি হয়রানির মুখে পড়ছেন তারা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আয়শা আফরিন লক্ষ্মীবাজার এলাকায় মেস ভাড়া নিয়ে থাকেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত মার্চ মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ দেয়ার পর গ্রামের বাড়ি চলে আসি। এরপর থেকে প্রতি মাসে বাড়িওয়ালা ভাড়ার জন্য ফোন দেয়। এনিয়ে দুই মাসের ভাড়াও পরিশোধ করেছি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে গত এক মাসের ভাড়া দিতে সমস্যায় পড়ি। 

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে ফোন দিলে উনি থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। অনেক কষ্টে থানায় যোগাযোগ করলে, ওনারা আমাকেই বাড়িওয়ালার সাথে কথা বলে মিউচুয়াল করতে বলেন। এরপর পুনরায় প্রক্টরকে ফোন দিলে উনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোনো বড় ভাইকে বলে সমাধান করতে। 

এই শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী আমি প্রক্টর স্যার ও থানায় ফোন দিয়েছি। কোনো সহযোগিতা পাচ্ছিই না, উল্টো হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী রিপন হোসেন গেন্ডারিয়া এলাকায় মেস ভাড়া নিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, বাসা ভাড়া সমস্যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। সেখান থেকে পুলিশের এক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। অনেক কষ্টে ওই কর্মকর্তার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে শুনি উনি করোনায় আক্রান্ত। 

তিনি বলেন, এই সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের হল সুবিধা নেই, সে হিসেবে আমাদের সংকটকালীন সম্পূরক অর্থ সহায়তা দিতে পারে।

রাজধানীর সূত্রাপুর থানার এস.আই সুব্রত কুমার জানান, আমরা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গুলো পাচ্ছি। অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়া দিয়েই তার পরিবার চালায়। তাদেরও অনেক সমস্যা রয়েছে। দুপক্ষই পরিস্থিতির শিকার। আমরা অনেকগুলো সমস্যা দেখেছি। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে জানিয়েছি। এই সমস্যার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক হয়রানির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে জবি ভিসি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। 

অন্যদিকে বাসা ভাড়া সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের সম্পূরক অর্থ সহায়তা দেয়া যায় কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, এতো শিক্ষার্থীকে টাকা দেয়া সম্ভব না। ক্যাম্পাস খুললে দুয়েকটা কেইস আমরা বিবেচনা করে দেখতে পারি।


   আরও সংবাদ