ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সিআইডি'র ডিএনএ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু


প্রকাশ: ৯ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


সিআইডি'র ডিএনএ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু

   

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর ডিএনএ ল্যাবরেটরি নাম পরিবর্তন করে ডিএনএ ব্যাংক নামে কার্যক্রম শুরু করেছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভোধন করেন ২০১৭ সালের ২৩শে জানুয়ারী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ল্যাবরেটরি ধর্ষণ, অজ্ঞাত মৃতদেহ শনাক্তকরন, পিতৃত্ব বিরোধ-নিষ্পত্তি, ডাকাতি, হত্যাসহ প্রায় ৬ হাজার মামলার বিপরীতে ১৬ হাজারের অধিক আলামত থেকে ২০ হাজার  ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হয়েছে যা LIMS(Laboratory Information Management System) এর সার্ভারে সংরক্ষিত আছে।

বিজ্ঞ আদালতের আদেশক্রমে জানুয়ারী ২০১৪ সাল থেকে ডিএনএ প্রোফাইলিং এর কার্যক্রম শুরু হয়। ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি অফ বাংলাদেশ পুলিশ এর প্রথম আলামত গ্রহণ করা হয় ১৫ই জানুয়ারী ২০১৪। ডিএনএ ব্যাংক দীর্ঘস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত প্রতিটি ব্যক্তির ডিএনএ প্রোফাইল। 

২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত মোট সংগৃহীত মামলার সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। ডিএনএ ব্যাংক এ সংরক্ষিত অপরাধীদের প্রোফাইল পরবর্তীতে ওই একই ব্যাক্তিকে শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পর্যন্ত বিভিন্ন মামলার সাথে সম্পর্কিত প্রায় ১৫ হাজার প্রোফাইল ডিএনএ ব্যাংকে সংরক্ষিত আছে। যার মাধ্যমে পরবর্তিতে খুব সহজেই সন্দিগ্ধ ব্যাক্তিকে সনাক্ত করা সম্ভব।

ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষিত অপরাধীদের ডিএনএ প্রোফাইল তদন্তকার্যক্রমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলা সংক্রান্ত সকল আলামতের বিশ্লেষণ ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে হয়ে থাকে। ডিএনএ ল্যাব সিআইডি এর সহায়তায় বাংলাদেশ পুলিশ অসংখ্য ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলা সমাধান করতে সফল হয়েছে। 

বর্তমানে ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব দেশের বিভিন্ন কোর্ট, থানা থেকে আগত শতাধিক মামলা গ্রহণ করে থাকে এবং নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করে থাকে। DNA Database এ সংরক্ষিত  DNA Profile সমূহ বিশ্লেষণ করে নিখোঁজ বা অজ্ঞাত কোন ব্যক্তি কে শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয় যদি অজ্ঞাত বা নিখোঁজ ব্যাক্তির দাবিদার কিংবা আত্মীয়-স্বজন পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক জাপান সরকারের জেডিসিএফ এর অর্থায়নে ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি অফ বাংলাদেশ পুলিশ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম আগস্ট ২০১১ সালে শুরু হয় যা জুন ২০১৫ সালে সমাপ্ত হয়। 


উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হলো- “দেশের শীর্ষ জঙ্গী মুসাকে সনাক্ত করণ সম্ভব হয় ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে” কাউন্টার টেররিজম ইউনিট পরিচালিত উক্ত জঙ্গীদমনের ঘটনাটি অপারেশন ম্যাক্সিমাস নামে পরিচিত। ডিএনএ ক্রস-ম্যাচের মাধ্যমে জানা যায় অসনাক্তকৃত ব্যক্তিই মুসা।

সীতাকুন্ড মডেল থানায় জঙ্গী ঘটনা সংক্রান্ত মামলায় ঘটনাস্থল থেকে ক্রাইমসিন ইউনিট কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের জৈবিক আলামত সংগ্রহ করা হয়। এসকল আলামতগুলো সত্যিকার অর্থে কোন ব্যক্তির তা সনাক্ত করার জন্য ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হয়। পরবর্তীতে মুনমুন আহম্মেদ এর নমুনা ডিএনএ প্রোফাইল করার পরে উক্ত ০৪ জন ব্যক্তির প্রোফাইলের সাথে সাদৃশ্য পাওয়া যায় নি। কিন্তু ডিএনএ ব্যাংকে অনুসন্ধান করে অপর একটি মামলায় নিহত জঙ্গীর জৈবিক মাতা হিসেবে প্রমানিত হয়।


   আরও সংবাদ