ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ ভাদ্র ১৪৩১, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সরকারি স্কুলের গাছ বাড়ি নিয়ে গেলেন শিক্ষক দুই ভাই


প্রকাশ: ৯ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


সরকারি স্কুলের গাছ বাড়ি নিয়ে গেলেন শিক্ষক দুই ভাই

   

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছা উপজেলার জামিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঝারি আকৃতির কয়েকটি মেহগনি গাছ গত ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্পানে উপড়ে ও ভেঙে যায়। 

গাছগুলি এবং প্রায় ৫০ মন জ্বালানি কাঠ বিদ্যালয়টির শিক্ষক দু’ই সহোদর নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এ নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান গত ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্পানে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের জামিরা গ্রামের জামিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের কয়েকটি মাঝারি আকৃতির মেহগনি গাছ উপড়ে ও ভেঙে যায়।

গাছগুলিও কাঠ ও প্রায় ৫০ মন জ্বালানি কাঠ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবুল আক্তার (বাবু) (৪১) ও তার সহোদর নয়ন হোসেন (৩৮) তাদের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। শিক্ষক দুই ভাই ওই গ্রামের মৃত শাহাদৎ হোসেনে ছেলে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কাউকে না জানিয়ে গোপনে স্কুলের ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা মূল্যের গাছ ও জ্বালানী তাদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি সরকারি স্কুলের গাছ সরকারি ভাবে বিক্রি হওয়ার কথা। তা না করে শিক্ষক দুই ভাই নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গেছেন ব্যবহারের জন্য।

তারা যদি নিতেই চান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে পরামর্শ করে কিনে নিতে পারতেন। গাছগুলি সরকারের সম্পত্তি। এ গুলি বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব আয় আসে। গ্রামের লোকজনের দাবি তারা দুই ভাই স্কুুলের সম্পত্তিকে সবসময় নিজেদের পারিবারিক সম্পত্তি মনে করেন। তারা দুই ভাই সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হওয়ায় গ্রামের বয়স্কদেরও মূল্যায়ন করতে চান না।

তবে প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করে স্কুলটির সহকারী শিক্ষক দুই সহোদর বাবুল আক্তার ও নয়ন হোসেন। পরে তারা বলেন আমরা সংরক্ষণের জন্য গাছ ও জ্বালানিগুলি নিজেদের বাড়িতে নিয়ে এসেছি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি বা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাননি কেন প্রশ্নে তারা কোন জবাব দিতে পারেন নি।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও গ্রামের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, স্কুলের ২০/২৫ হাজার টাকা মূল্যের মেহগনি গাছগুলো ও জ্বালানি শিক্ষক ওই দুই ভাই নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। বিষয়টি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি এমনকি সভাপতি হিসেবে আমাকেও জানাননি। 


   আরও সংবাদ