ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতিসংঘের পুরস্কার অর্জন দেশের জন্য গৌরবের : অর্থমন্ত্রী


প্রকাশ: ১২ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


জাতিসংঘের পুরস্কার অর্জন দেশের জন্য গৌরবের : অর্থমন্ত্রী

   

স্টাফ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, “ভূমি মন্ত্রণালয়ের ই-মিউটেশন কার্যক্রমটি দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

এ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত ‘Developing Transparent and Accountable Public Institutions’ (‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ’) ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ ‘জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জন করেছে যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়”।

গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন। 

শনিবার (১৩ জুন) বিকালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ভূমি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই হাজার ১৫ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ভূমি সংস্কার বোর্ড, আইসিটি বিভাগ এবং এটুআই প্রকল্পের সহায়তায় নামজারির প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে ই-নামজারি পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় গত ১ জুলাই ২০১৯ হতে তিনটি পার্বত্য জেলা ব্যতীত সারাদেশে শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন শুরু করেছে। বর্তমানে ৪৮৫টি উপজেলা ভূমি অফিস ও সার্কেল অফিসে এবং ৩,৬১৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ই-নামজারি বাস্তবায়ন হচ্ছে। 

আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, “মুজিব শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ সেবাধর্মী কার্যক্রম হিসেবে ১৭ মার্চ ২০২০ হতে ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ বন্ধ হয়েছে। পূর্বের প্রচলন অনুযায়ী জনগণকে ভূমি অফিসে গিয়ে মিউটেশন করতে হতো যাতে বারবার ভূমি অফিসে যাতায়াতে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় হতো। 

ভূমি মন্ত্রণালয়ের শ্লোগান 'হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা'-এর ধারাবাহিকতায় জনগণ বর্তমানে ই-নামজারি পদ্ধতিতে ৪৫ কার্যদিবসে পরিবর্তে সর্বোচ্চ ২৮ দিনের মধ্যে ঘরে বসেই মিউটেশন সেবা পাচ্ছেন”। এছাড়া, ভূমি নিবন্ধন বিষয়েও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। 

এসময় তিনি জানান ভূমি নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে আইসিটি নির্ভর করা হবে। বিভিন্ন দপ্তরের সাথে আন্তঃপরিবাহিতা (ই-সার্ভিস বাস) বা লিঙ্কেজ স্থাপনের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে ভূমি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিসসমূহ, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও জেলা রেজিস্ট্রি অফিস, নিবন্ধন অধিদপ্তর, ভূমি সংক্রান্ত অন্যান্য অফিস, নির্বাচন কমিশন, পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অধিদপ্তরের সাথে নিরাপদ আন্তঃযোগাযোগ ও তথ্যের আদান প্রদানের জন্য সহায়ক হবে। এর ফলে ভূমি নিবন্ধনে নাগরিকগণ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সেবা পাবেন।

দেশে দক্ষ ভূমি জরিপ ও ব্যবস্থাপনা পেশাজীবী তৈরিতেও সরকারের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি এসময় জানান, দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাথে সাথে ৪টি ভূমি জরিপ ইন্সটিটিউট স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর ফলে, কারিগরি শিক্ষার সুযোগ দেশব্যাপী বিস্তার হবে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এর স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমি মন্ত্রণালয় সকল ভূমিসেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে এবং ভূমিসচিব মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারীর তত্ত্বাবধানে আইসিটি বিভাগের এটুআই প্রকল্পের সার্বিক সহায়তায় ভূমি সংস্কার বোর্ডের মাধ্যমে ই-নামজারি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।


   আরও সংবাদ