ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তির দাবিকে স্বাগত জানিয়েছে জবি শাখা ছাত্রলীগ


প্রকাশ: ১৩ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তির দাবিকে স্বাগত জানিয়েছে জবি শাখা ছাত্রলীগ

   

জবি প্রতিনিধি : করোনায় শিক্ষার্থীদের বাড়ি ভাড়া ও শিক্ষা সংকট নিরসনে ‘সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তি’র দাবিকে স্বাগত জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। শিক্ষার্থীদের এই দাবি নিয়ে সামনে একসাথে কাজ করারও আশ্বাস দেন। একই সাথে শিক্ষার্থীদের বাড়ি ভাড়া সমস্যায় পাশে থাকতে চারটি টিম করে কাজ করছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল আলম টিটন বলেন, করোনায় সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তির দাবি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি। এই দাবিকে আমরা স্বাগত জানাই। এই দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কারো সাথে যদি কথা বলতে হয়, প্রয়োজনে আমরা তাদের সাথে যাবো। 

তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া সকলের অধিকার।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কমিটি নেই। এর মধ্যেও আমরা চারটি টিম করে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।শিক্ষার্থীদের যে কোন সমস্যা ও দাবিতে আমরা তাদের সাথে থাকবো।

শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির দাবি খুবই যৌক্তিক। শিক্ষার্থীদের সংকট নিরসনের দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীই নানান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাড়িভাড়ার সমস্যা এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই ক্যাম্পাসের নেতাকর্মীরা ফোন দিচ্ছে। সামর্থ অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এখন আমরাও তো ছাত্র। আমাদেরও তো এতো সাধ্য নেই। প্রশাসন থেকে বৃত্তির ব্যবস্থা করলে এই সমস্যার নিরসন সম্ভব।

এর আগে গত ১০ জুন ক্যাম্পাসের ছাত্রসংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ১৯ নেতৃবৃন্দ করোনায় বাড়ি ভাড়া ও শিক্ষা সংকট নিরসনে সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তির দাবি জানায়। তারা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ব্যাচ মিলিয়ে বর্তমানে অধ্যয়নরত সর্বমোট শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১৬ হাজার ৯১৭ জন। 

এদের প্রত্যেককে আগামী ৬ মাসে ১৫০০ টাকা করে সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তি দিলে তাহলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ, প্রতিটি শিক্ষার্থী ৬ মাসে ৯ হাজার টাকা পাবে। এই টাকা সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে দিলে মেসভাড়াসহ অন্যান্য শিক্ষাসংকট দূর হবে।


   আরও সংবাদ