ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের দিনপঞ্জিকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দলিল: স্পিকার


প্রকাশ: ২৪ অগাস্ট, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের দিনপঞ্জিকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দলিল: স্পিকার

   

স্টাফ রিপোর্টার  : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের প্রতিটি দিন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তিনি মানুষকে গভীরভাবে ভালবাসতেন এবং বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তাঁর সংগ্রামী জীবনের দিনপঞ্জিকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
 
রোববার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকা আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস-২০১৯ উপলক্ষে “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পীকার বলেন, জীবন বিশ্লেষণ করে তাঁর আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তিনি ছিলেন অকুতোভয় অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করা। 

স্পীকার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আদায়ে দীর্ঘ ২৩ বছর আপোষহীন থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু সবসময় পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার কঠোর নজরদারিতে ছিলেন। পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিটি প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদ্দয়ের ইতিহাসের পরতে পরতেই মিশে আছে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য ত্যাগ। 

শিরীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। বিশ্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল সূচকে উন্নয়নের রোলমডেল। এ সময় তিনি জাতির পিতার আদর্শকে ধারন করে তাঁরই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় আত্মনিয়োগ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট শেখ আবদুল্লাহ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বাবু মুকুল বোস এবং নার্গিস রহমান এমপি বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গসহ সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির প্রধান সমন্বয়ক এ্যাড. মোল্লা আবু কাওছার।

অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


   আরও সংবাদ