ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পূর্ব রাজাবাজার পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও ডিএনসিসি মেয়র


প্রকাশ: ১৬ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


পূর্ব রাজাবাজার পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও ডিএনসিসি মেয়র

   


স্টাফ রিপোর্টার : পরীক্ষামূলকভাবে চলমান লকডাউনকৃত এলাকা পূর্ব রাজাবাজার পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। 

আজ বুধবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টায় পূর্ব রাজাবাজার পরিদর্শনে যান তারা।

পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা শুরু থেকেই নিয়মিত এই এলাকাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা খোঁজ রাখছি। 

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা টেকনিক্যাল কমিটিকে বলেছি, নতুন যে জোনিং করা হচ্ছে, সেটি কীভাবে আরও সুনির্দিষ্ট করা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সে বিষয়ে কাজ করছে। 

আমরা আশাবাদী, তবে এই মুহুর্তে আমাদের দরকার, সামাজিকভাবে সবাইকে এগিয়ে আসা। সাধারণ জনগণ যখন এগিয়ে আসবে, এলাকবাসী যখন নিজেদের এলাকাকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করবে, তখনই আমরা সফল হবো। 

আমাদের কাউন্সিলর, সেনাবাহিনী, পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন সবাই একযোগে কাজ করছি। আমি বিশ্বাস করি, আমরা পরবর্তীতেও যেসকল এলাকা লকডাউন করবো, সেসব এলাকার জনগণ যদি আমাদের নির্দেশনা মেনে চলে, আমাদের সহায়তা করে তবে, আমরা নিজেরা রক্ষা পাব, জনগণ রক্ষা পাবে, রক্ষা পাবে পুরো বাংলাদেশ। 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে পুরো দেশকে লকডাউন করতে পারি না। এজন্য সংক্রমণের হার নিরুপণপূর্বক এলাকাভিত্তিক ক্লাস্টার করে লকডাউন করাটাই সবচেয়ে উপযোগী। এবিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের সাথে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা একযোগে কাজ করছে।

ডিএনসিসিতে মেয়র সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন, তার কাউন্সিলরগণও নিবেদিতপ্রাণ, আমি নিজেও সার্বিক বিষয় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। মন্ত্রী আরো বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন মেয়রের নির্দেশে এখানে স্ট্যান্ডবাই একটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে যেকোন ইমারজেন্সির জন্য। 

রাজাবাজার আমাদের অন্যান্য নতুন লকডাউন এলাকার জন্য এক্সাম্পল হিসাবে কাজ করবে। আপনারা জানেন যে এখানে আমরা মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা রেখেছি। যারা ক্রয় করতে পারছেন না, দরিদ্র মানুষ, তাদেরকে বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য দেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। আর যারা স্বচ্ছল পরিবার তাদেরকে চাহিদা অনুযায়ী খাবার ক্রয় করে হোমডেলিভারি দেয়া হচ্ছে।

এভাবে আমরা ঢাকা শহরসহ অন্যান্য যেসকল এলাকায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেশি সেখানে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সারা বাংলাদেশের ব্যাপক সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা হবে। 

পরিদর্শনকালে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান ইরান উপস্থিত ছিলেন।


   আরও সংবাদ