ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

নৌবাহিনীতে আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২০ পালিত


প্রকাশ: ২০ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


নৌবাহিনীতে আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২০ পালিত

   

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ নৌবাহিনী চিফ হাইড্রোগ্রাফার বিভিন্ন জাহাজ ঘাঁটি ও সংস্থার মধ্যে হাইড্রোগ্রাফি দিবস উপলক্ষে একটি ভিডিও টেলিকনফারেন্সিংয়ের আয়োজন করা হয়।

আজ রোববার (২১ জুন) বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস পালিত হয়েছে।

কনফারেন্সে আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ে আলোচনা, হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ কাজে ব্যবহৃত স্বয়ংক্রিয় ড্রোন এবং ডুবোযানসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থার সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে ২০০৫ সাল হতে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল "Hydrography-Enabling Autonomous Technologies"। সমুদ্রে নিরাপদ জাহাজ চলাচল, ব্লু-ইকোনমির উন্নয়ন, সামুদ্রিক পরিবেশ ও সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহার ও তার নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার বিষয়গুলো সকলের নিকট গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরতে এ প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। 

বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থা (আইএইচও) এর ৭০তম সদস্য এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্র অঞ্চলের সকল হাইড্রোগ্রাফিক কর্মকান্ডের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। 

এছাড়া ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর হতে নৌবাহিনীর নেতৃত্বে জাতীয় পর্যায়ের সকল হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থার মধ্যে সমুদ্র জরিপ ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহের বিষয় সমন্ময় সাধন করে থাকে। 

এ কমিটি হাইড্রোগ্রাফির প্রচার-প্রসার, জাতীয় হাইড্রোগ্রাফিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিজ্ঞান ও কৌশলগত সহযোগিতা বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ইতিমধ্যে সমুদ্রে নিরাপদ নেভিগেশনের জন্য আন্তর্জাতিক মানের নটিক্যাল চার্ট তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে। নৌবাহিনীর তৈরীকৃত চার্টসমূহ বিশ¡ব্যাপী মেরিনারগণ তাদের বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের সমুদ্রে নেভিগেশনের জন্য ব্যবহার করছে। 

এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনী বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চলের ০৯টি আর্ন্তজাতিক সিরিজের চার্ট এবং ১১টি ইলেকট্রনিক নেভিগেশনাল চার্ট তৈরির সামর্র্থ্য অর্জন করেছে যা বিশ্বব্যাপী মেরিনারদের জন্য সহজলভ্য করার প্রক্রিয়া চলছে। এর ফলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সামুদ্রিক বাণিজ্য প্রসারে এবং নিরাপদ নেভিগেশনে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।


   আরও সংবাদ