প্রকাশ: ২৫ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
কক্সবাজার সংবাদদাতা : কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমা পাড়া এবং উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনতলীর গহীন পাহাড়ী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার (২৬ জুন) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফের হোয়াক্যং পাহাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা হলেন- দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের ভাই বশির আহমদ ও হামিদ হোসেন এবং তার ডাকাতদলের সদস্য মোহাম্মদ রফিক ও মোহাম্মদ রাঙ্গাইয়া। বাকি দু’জন টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা, চারটি দেশিয় তৈরি বন্দুক ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন জানান, পুলিশকে লক্ষ্য করে আচমকা গুলি ছুঁড়তে শুরু করে ডাকাতদলের সদস্যরা। পুলিশ দ্রুত কাভার নিয়ে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। থেমে থেমে গোলাগুলি চলে। এক পর্যায়ে গোলাগুলি থেমে যায়। ডাকাত দলের সদস্যদের কাছ থেকে অনেক্ষণ সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজ শুরু করে পুলিশ সদস্যরা। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে চার জনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ইকবাল হোসাইন জানান, আজ সকাল থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমা পাড়া এবং উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনতলীর গহীন পাহাড়ী এলাকায় পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালালে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে দুজন দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের ভাই এবং অন্য দুজন তার ডাকাতদলের সহযোগী। বিকালে নিহতদের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উখিয়া থানায় নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহতরা সবাই শীর্ষ ডাকাত আবদুল হাকিমের সহযোগী ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ, ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারা ক্যাম্পে ত্রাস হিসেবে পরিচিত। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে অভিযানে আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের ভাই কবির আহমদ, নজির আহমদ ও স্ত্রী রুবি আকতার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
ইকবাল হোসাইন জানান, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ইকবাল হোসাইন।