ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিলিতে উত্তীর্ণদের সনদ প্রদান ও প্রতিবছর পরীক্ষার দাবিতে মানববন্ধন


প্রকাশ: ২৯ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


পিলিতে উত্তীর্ণদের সনদ প্রদান ও প্রতিবছর পরীক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

   

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি : ভোলা জেলা শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে লিখিত পরীক্ষা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনিশ্চিত হওয়াই ২০১৭ ও ২০২০ সালের উত্তীর্ণ সকল শিক্ষানবিশ আইনজীবিদের গেজেট প্রকাশ করে সনদ প্রদান। ও ২০১৭ সালের হাইকোর্টের আপিল বিভাগের রায় অনুসারে প্রতিবছর পরীক্ষা শুরু করে একই বছরে ক্যালেন্ডার অনুসারে শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় ভোলা জেলা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারীতে মানুষ জীবন বাঁচানোর জন্য যখন ঘরে অবস্থান করছে। তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা আজ তারা রাস্তায় নেমেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। 

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বিধি অনুযায়ী প্রত্যেক ৬ মাস পর পরীক্ষা গ্রহণ করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে তা আড়াই থেকে তিন বছরও লেগে যায়। আবার একবার পিলি এমসিকিউ পরীক্ষা শুরু করলে তা শেষ করতে দেড় বছর সময় লেগে যায়। বিনা বেতন ও সম্মানীভাতা বিহীন এই স্বাধীন পেশায় বছরের পর বছর সময় নষ্ট করে পর্যায়ক্রমে পিলি, লিখিত, ভাইবাসহ তিনটি পরীক্ষা নিচ্ছে তারা। পরীক্ষায় ১০ থেকে ১৫ পার্সেন্ট পাশের হার নিয়েও চরম হতাশা ও অসন্তুষ্ট রয়েছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।
 
এই রকম অদ্ভুত, দীর্ঘসূত্রতার পদ্ধতির পরীক্ষা নেওয়া বিধান বিশ্বের আর কোথাও নজির নেই। যা বাংলাদেশের প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর জন্য আজ বিষফোড়ায় পরিণত হয়েছে।

২০১৪ সালের শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৭ ইং সালে মহামান্য হাইকোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে প্রত্যেক বছর পরীক্ষা শুরু করে তা একই বছরের ভিতর শেষ করার নির্দেশ দেয়া থাকলেও বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ওই রায়ের আদেশেকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বছরের-পর-বছর পরীক্ষা না নিয়ে তারা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। তাদের এই  দায়িত্বহীনতা, উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে আজ দেশের শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

তারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সকল সেক্টরের দিকে আপনি লক্ষ্য রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দয়া করে বার কাউন্সিলের দিকে আপনি একটু নজর দিন।

এই করোনা মহামারীর কারণে ১৭ ও ২০ সালে যারা পিলি (এমসিকিউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে দ্রুত গেজেটের মাধ্যমে সনদের ব্যবস্থা এবং প্রতি বছর পরীক্ষা নিয়ে সকল শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের সামাজিক ভাবে জীবন যাপনের ব্যবস্থা করে বেকারত্ব অভিশাপ দূর করার দাবি তোলেন তারা। 

এসময় মনিরুল ইসলাম, ইব্রাহিম হাওলাদার, রফিকুল ইসলাম, নুরুদ্দিন, আজিমউদ্দিন, শহীদুল্লাহ, মাহবুবুর রহমান, সেলিম সুজন কর্মকার, ফয়জুন্নেসা, জান্নাত বেগমসহ ভোলা জেলার সকল শিক্ষানবিশ আইনজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।

ভোলা জেলা শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিষদের সভাপতি ফরহাদ হোসেনে এর সভাপতিত্বে এই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিষদের সহ-সভাপতি আবুল হাসেম শাকিল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মালেক, এইচএম মামুন ও মুক্তারা রাণী দে, মাহবুবুর রহমান, মিজানুর রহমান, ইয়ামিন হাওলাদার প্রমুখ।


   আরও সংবাদ