ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পশুর হাট বসাবে না : মেয়র


প্রকাশ: ১ জুলাই, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পশুর হাট বসাবে না : মেয়র

   

স্টাফ রিপোর্টার : জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রেখে রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোরবানি পশুর হাট বসাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) বিকেলে ডিএনসিসির নগর ভবনে গণমাধ্যমের উদ্দেশে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় মেয়র এ কথা বলেন। 

মেয়র বলেন, আমার কাছে বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে ফোন আসছে যে, আমরা যদি ঢাকার পশুর হাট যদি বন্ধ করে দেই তবে তাদের কী হবে! এটিই কিন্তু এখন  বাস্তবতা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কিন্তু একটি বছর অপেক্ষা করে থাকে এই কোরবানি পশুর হাটের জন্য। তাদের অনেকেই পশু পালন করে বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করে। 

একইসাথে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু কোরবানি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নেন। আবার এটিও সত্য যে আমাদের শহরে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে যদি পশুর হাট বসে সেটি কিন্তু জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য কিছু কিছু সিদ্ধান্ত আমি পরিবর্তন করতে বলেছি। 

আতিকুল ইসলাম বলেন, হাট ইজারা দিয়ে হয়তো কোটি টাকা আয় করা যাবে, কিন্তু টাকার চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাই আমি ঢাকার বাইরে তুলনামূলক কম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাট বসানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি যাতে ব্যাবসায়ীরা পশু বিক্রিও করতে পারে আবার জনস্বাস্থ্যও বিবেচনায় রাখা যায়।

মেয়র আতিকুল বলেন, আমাদের তেজগাঁও, আফতাবনগর, ভাষানটেক এলাকায় বড় হাট বসে প্রতিবার। সেখান থেকে আমাদের অনেক টাকা আয়ও হতো। কিন্তু এবছর করোনা বিবেচনায় আমরা এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই স্থানে হাট বসতে দিবো না। 

তিনি অন্যান্য এলাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, উত্তরা ১০,১১ ও ১২ এই তিনটি সেক্টরে বড় হাট বসত। গত বছর এই হাটে ইজারা মূল্য পাওয়া গিয়েছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কিন্তু এবছর এখানে আমরা হাট বসতে দিব না। উত্তরাবাসীর জন্য উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন এলাকায় বড় হাট বসবে, তারা সেখান থেকে পশু কিনতে পারবেন এবং ঐ এলাকায় মানুষের বসবাসও কম।
এছাড়া মোহাম্মদপুরের বাসিন্দাদের জন্য বসিলায় একটা হাট দেওয়া হবে। এ ছাড়াও হাট থাকবে পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী ও ১০০ ফুট সড়কের সাইদ নগর এলাকায়, কাউলায়। গাবতলীতে আমাদের স্থায়ী পশুর হাট আছে, সেটি থাকবে। 

তবে ঢাকা উত্তরের সকল হাটেই মেনে চলতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। আমি অনুরোধ করবো যাতে শারীরিকভাবে দুর্বল, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক মানুষ এবং শিশুরা পশুর হাটে না আসে এবার। ইজারদারদেরকে বলা থাকবে যাতে পশুর হাটে নূন্যতম ৫ ফুট দূরে দূরে গরু রাখার ব্যবস্থা করে তারা। হাটে পর্যাপ্ত বেসিন এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে, জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে একটু পর পর মাইকিং থাকতে হবে। 

আমাদের পক্ষ থেকে সব হাটে ম্যজিস্ট্রেট টহল থাকবে। ইজারাদারদেরকে সতর্ক থাকতে হবে, আমাদের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে, অন্যথায় ইজারা বাতিল করা হবে। 

কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে মেয়র বলেন বরাবরের মতো এবারও ডিএনসিসি ২৪ ঘন্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে প্রস্তুত। তিনি নগরবাসীকে অনুরোধ করে বলেন, আপনারা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিবেন, কোন অবস্থাতেই বর্জ্য ড্রেনে ফেলবেন না, ইনশাআল্লাহ আমরা এবারও ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঢাকা উত্তরের সকল বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হবো।


   আরও সংবাদ