ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

কেউ রোহিঙ্গা ইস্যুতে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে : কাদের


প্রকাশ: ২৬ অগাস্ট, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


কেউ রোহিঙ্গা ইস্যুতে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে : কাদের

   

 স্টাফ রিপোর্টার : দেশের একটি মতলবী মহল রোহিঙ্গা ইস্যুতে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ আয়োজিত  জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটা মতলবী মহল রয়েছে। যারা আন্দোলন, সংগ্রাম, নির্বাচনে ব্যর্থ।  তাদের এখন ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কেনো পথ নেই।  তারা একবার কোটা আন্দোলন, একবার নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এইসব আন্দোলনকে পুঁজি করে ক্ষমতা দখলের পায়তারা করছে। অতীতেও করেছে। এখন তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে, রাজনীতি ইস্যূ হিসেবে বেছে নিয়ে এ থেকে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্রমূলক সহায়তা নেয়া যায় কি-না?  সেটা তো নিশ্চয়ই তাদের মাথায় থাকতে পারে।

মিয়ানমার বন্ধুহীন দেশ একথা বলার কোনো কারণ নেই।  তাদেরও বন্ধু আছে। কাজেই তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে তাদের অনুগ্রহ - অনিহা আছে।  

রোহিঙ্গাদের নেতা মহিবুল্লার ২০ মিনিটে ৫ লাখ লোককে ঐক্যবদ্ধ করে সমাবেশ করেছে, রাজনৈতিক দল তৈরি করেছে এবিষয়ে আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন কি? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব বিষয় আমাদের নলেজে আছে। রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য আমরা দিয়ে যাচ্ছি, আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছি। রোহিঙ্গাদের নিয়ে যারা নোংড়া খেলা খেলতে চায় তাদের ব্যাপারেও আমাদের কাছে ইনফরমেশন আছে। সময় মত ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোহিঙ্গাদের ওখানে সমস্যা আছে, বিদেশে থেকেও মদদ আছে। 

রোহিঙ্গারা কোনো দিনও যাবে না বাংলাদেশ থেকে, বাংলাদেশ কি প্যালেস্টাইন হতে যাচ্ছে এ বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন এই বিষয়টি একেবারেই অযৌক্তিক বিষয়। এটার কোনো বাস্তব সম্মত ব্যাখা দেয়ার কিছু নেই। ফিলিস্তিনরা তাদের নিজ ভূমে পরবাসী। রোহিঙ্গা নিজ ভূমিতে পরবাসী? তারা বিদেশে আসছে। বাংলাদেশ তো তাদের ভূমি না। কাজেই এর সঙ্গে তুলনা হয় না।

রংপুর-৩ উপনির্বাচনে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 
আমরা এ পর্যন্ত কোনো উপ-নির্বাচনে কাউকে ছাড় দেইনি। যার যার ইলেকশন তাদের দলীয় প্রতিকে তারা করবে। জাতীয় পার্টির প্রার্থ থাকবে, আওয়ামী লীগও তাদের প্রার্থীতা ওখানে রাখবে।  ছাড় দেওয়া কোনো বিষয় নেই। আমরা দল হিসেবে, সরকারি দল আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্ধীতা করবো। জাতীয় পার্টি, তাদের এরশাদ সাহেবর আসন। তারাও প্রতিদ্বন্ধীতা করবে। এখানে ছাড় দেয়া বা ভাগভাগীর বিষয় নেই। যার যার প্রতিদ্বন্ধিতা যার যার প্রতিক নিয়ে। আমারও সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। 

যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুন্নাহার রত্নাসহ যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।


   আরও সংবাদ