ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বাজেট ভাবনা


প্রকাশ: ৩ জুলাই, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বাজেট ভাবনা

   

বশেমুরবিপ্রবি থেকে খাদিজা জাহান :২০২০-২১ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪ কোটি ২ লক্ষ টাকার বাজেট বরাদ্দ হয়েছে।উক্ত বাজেট নিয়ে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট কিনা বা তারা কি ধরণের বাজেট প্রত্যাশা করেন জানতে চাইলে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন-

শাহিনুর ইসলাম (ইংরেজী বিভাগ): একটা ছোট্ট পরিসরের ইউনিভার্সিটিতে বিশাল সংখ্যক প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থীদের বাস। আর এখানের শিক্ষা- সামগ্রী বা ক্লাসরুমগুলো শিক্ষার্থীদের তুলনায় প্রায় নগণ্য; তাহলে গবেষণা করবে কেমনে! অথচ একটা ইউনিভার্সিটির প্রধান কাজ ছিল গবেষণা করা; গবেষণার মাধ্যমে দেশের সমাজ-সংস্কৃতিতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা। আবার গবেষণার জন্য এতো বেশ সংখ্যক ছাত্রছাত্রীদের জন্য হাতেগোনা কয়েকটি ল্যাব। লাইব্রেরিও ছোট আবার পূর্বকালের সকল বইয়ে ভরপুর ; আধুনিক বিশ্ব হতে সংগৃহীত কয়টা মূল্যবান বই এখানে আছে; যেখানে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের জ্ঞানের সাথে তাল মিলিয়ে চিন্তা করবে। 

ইন্টারনেটের পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা করা বা শিক্ষা সফর আয়োজনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের ভূ-তাত্ত্বিক বিষয়ক গবেষণার দিকে নজর দেওয়ানো।
সাহিত্য আড্ডা, সভা, সেমিনার, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান আয়োজন,যেখানে উঠে আসবে সমাজের বিভিন্ন দিক। এভাবে গবেষণার খাতে উক্ত টাকাগুলো ব্যয়িত হতে গেলে আমি বলবো একটা বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্যে গবেষণার খাতে বরাদ্দকৃত বাজেট অনেক কম হয়েছে।

কারিমুল হক (ইতিহাস বিভাগ): ২০২০-২১ অর্থবছরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪ কোটি ২ লক্ষ টাকার  যে বাজেট পেয়েছে প্রকৃতপক্ষে আমি এটাতে সন্তুষ্ট না। আসন সংখ্যার দিক থেকে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম ও ৩৪ টি বিভাগ থাকায় তুলনামূলক নতুন একটি  বিশ্ববিদ্যালয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আরো বেশি বরাদ্দ দিবে সেটা আশা করেছিলাম।

তবে ইতিবাচক দিক হচ্ছে এ বছর গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে।গবেষণা খাতে বিশেষ করে গবেষণার পরিবেশ উন্নয়ন  ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে আরো বেশি বরাদ্দের প্রয়োজন ছিল।পরিশেষে বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ও সুষ্ঠু ব্যবহার প্রত্যাশা  করি।

অমিত মজুমদার (আইন বিভাগ): বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হলো গবেষণা।যেহেতু গবেষণা খাতে বাজেট বেড়েছে তাই আমি আনন্দিত।তবে আমাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক,সেই তুলনায় এই বাজেটকে অপ্রতুল মনে হয়।

মোতাসিম বিল্লাহ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ): অধিক শিক্ষার্থী, গবেষণার অনুচ্চ সুযোগ-সুবিধা, গবেষণার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি বিহীনতা সহ সব ধরণের সমস্যা দূরীকরণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত ঘোষিত বাজেট যতেষ্ট নয়। বিশেষ করে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল ভিত্তিক গবেষণার জন্য গবেষণার খাতে এবং গবেষণার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সহ অন্যান্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত।

রিমু বাসক (ম্যানেজমেন্ট বিভাগ): বাজেট দেখে অনেক কিছুই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।কম হোক কিংবা বেশি বাজেট যদি সঠিক ভাবে সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা হয়,তাহলে অল্প বাজেট দিয়েও গুছিয়ে অনেক কাজই অগ্রসর করা সম্ভব। যতটুকু বাজেটই হয়েছে তা যেন সঠিক ভাবেই ব্যয় হয় এবং আমরা আমাদের শিক্ষার প্রতিকূল পরিবেশ যেন পেতে পারি এটাই প্রত্যাশা।

নুরুল ইসলাম (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ): অধিক শিক্ষার্থীর ফলে গবেষণা খাতে আরো বেশি বরাদ্দ হলে গবেষণা খাত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেত।তাছাড়া শিক্ষাসামগ্রী, যন্ত্রপাতি,তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতেও আরো বেশি বাজেট বরাদ্দ থাকা দরকার।

 দিপু তালুকদার (কৃষি বিভাগ): বাজেট যেটাই হোক তা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই৷আমার মাথা ব্যথা বাজেটটা কতটুকু কার্যকর হচ্ছে সেটা নিয়ে৷ তাছাড়া গবেষণা খাতে বাজেট আগেও হয়েছে কিন্তু সেই বাজেট কতোটুকু কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পেরেছে তা সবার-ই জানা।তাই বাজেট যাই হোক না কেন আমরা তার প্রয়োগিক দিকে বিশ্বাসী৷

নুসরাত জাহান (পরিসংখ্যান বিভাগ): বাজেট আরো বেশি বরাদ্দ হলে ভালো হত।বাজেট বেশি থাকলে সবার জন্যই ভালো।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের গবেষণা খাত এগিয়ে নিতে আরো অধিক বরাদ্দের প্রয়োজন ছিল বলে আমি মনে করি।

মারুফা আক্তার (ফার্মেসি বিভাগ): ল্যাবে পর্যাপ্ত পরিমাণের যন্ত্রপাতি উন্নত গবেষণার একটি দিক।তাই গবেষণা খাতে এবং যন্ত্রপাতিতে বাজেটের পরিমাণ বেশি থাকলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে।তাই এই খাতে বাজেটের পরিমাণ বেশি থাকা উচিত। 

আবিদ আনসারি (আর্কিটেকচার বিভাগ): শিক্ষার্থী হিসেবে আমি মনে করি বাজেট মানানসই আছে।তবে এর সাথে আমি একটা কথা সংযুক্ত করতে চাই সেটা হলো,গবেষণা খাতের জন্য নিয়োগকৃত বাজেটটা বাড়ানো উচিত।


   আরও সংবাদ