ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মণিরামপুরে নমুনা সংগ্রহের মাস পার হলেও মেলেনি রিপোর্ট


প্রকাশ: ৭ জুলাই, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


মণিরামপুরে নমুনা সংগ্রহের মাস পার হলেও মেলেনি রিপোর্ট

   

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ; মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা সন্দেহে নমুনা দেয়ার মাস পার হলেও আজও পরীক্ষার রিপোর্ট মেলেনি। স্বাস্থ্য বিভাগের কোন কর্মকর্তা এর সঠিক জবাব দিতে পারেননি।

ভূক্তভোগিদের কয়েকজন নমুনা দেয়ার কয়েকদিন পর থেকে দফায় দফায় খোঁজ নিয়ে রিপোর্ট না পেয়ে হতাশ হয়ে আরো দুই জায়গায় নমুনা দিয়েছেন। এতে রিপোর্ট পাওয়া গেলেও আজও এ হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট মেলেনি। 

এছাড়া ধারাবাহিকভাবে গত এক সপ্তাহ ধরে নমুনা নেয়া হলেও তাদের কেউ রিপোর্ট হাতে পাননি। এতে একদিকে করোনা সন্দেহে নমুনা প্রদানকারিসহ স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন, অপরদিকে কেউ পজেটিভ হলে তাদের অবাধ চলাচলে আশে-পাশে করোনা সংক্রমনের আশংকা করছেন অনেকেই। 

খোজঁখবর নিয়ে জানা যায়, গত ২ এপিল থেকে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সন্দেহভাজন করেনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩শ’২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। 

এরমধ্যে ২শ’৮০ জনের রিপোর্টে ৪০ জন করোনা পজেটিভ সনাক্ত হন। ২২ জন সুস্থ্য হয়ে উঠলেও ১৮ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ১০ জুন করোনা সন্দেহে পৌর এলাকার হাকোবা গ্রামের তপন জ্যোতি কুন্ডুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু আজ অবধি তিনি রিপোর্ট পাননি। 

ক্ষোভের সাথে তিনি জানান, নমুনা দেয়ার ৩ দিন পর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খবর নেন। কিন্তু প্রতিবারই তাকে বলা আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। এভাবে সপ্তাহ পার হলে তিনি হতাশ হয়ে ১৫ জুন যশোরে নমুনা দেন, সেখানেও দেরি হলে তিনি ১৭ জুন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা প্রদানের ২ দিন পর হাতে পাওয়া রিপোর্টে জানতে পারেন তিনি করোনা নেগেটিভ। 

একই মাসের ২০ তারিখে এ হাসপাতালে পৌর এলাকার হাসানুর রহমানসহ আরো ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু তাদের কেউ রিপোর্ট পাননি। হাসানুর রহমান বলেন, তিনি দুবাই থেকে ফিরে করোনা সন্দেহে নমুনা প্রদান করেন। কিন্তু এখনো তিনি রিপোর্ট পাননি। তার মত বাকিরা করোনা উপস্বর্গ নিয়ে নমুনা দিলেও তারাও পাননি বলে তিনি জানানর।

চলতি মাসের ১ তারিখে আলী হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা এসএম আব্দুর রহিম ১০জন, ২ জুলাই নাহিদ হোসেন হোসেন, কবির হোসেন, আলী হোসেনসহ ৯জন নমুনা প্রদান করেন। কিন্তু এদের কেউ আজও রিপোর্ট পাননি।

উপজেলা স্বাস্থ্য  কর্মকর্তা শুভ্রারানী দেবনাথ বলেন, খুলনা বিভাগের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ আরটি-পিসিআর (রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমার্জ চেইন রিয়াকশন) ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু যশোর ও কুষ্টিয়ায় আপততঃ বন্ধ থাকায় রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। গত ১০ জুন ও ২০ জুন তারিখের রিপোর্ট কেন পাওয়া যায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা সিভিল সার্জন অফিসে পাঠান, কেন হচ্ছে না তারাই ভাল বলতে পারবেন।


   আরও সংবাদ