প্রকাশ: ৮ জুলাই, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে ফেসবুকে বিদেশি বন্ধুর উপহার সামগ্রী পাঠানোর কথা বলে প্রতারণা, ১৬ নাইজেরিয়ানসহ ১৮ জনকে আটক করেছে সিআইডি। আটকদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানানো হয়।
সিআইডি জানিয়েছে, একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে প্রতারকদের আটক করা হয়েছে। আটকরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তাদেরকে 'নাইজেরিয়ান ফ্রড' গ্রুপ হিসেবে অবিহিত করা হয়।
সিআইডি জানায়, ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন আগে তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে একজন বিদেশি নাগরিক ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠালে তা এক্সেপ্ট করেন তিনি। তাদের সাথে ম্যাসেঞ্জার ও পরবর্তিতে একটি বিদেশি নম্বর থেকে হোয়াটঅ্যপসের মাধ্যমে যােগাযােগ হতে থাকে।
এক পর্যায়ে ওই বিদেশি বন্ধু ভিকটিমকে বেশ কিছু গিফট পাঠাবে বলে জানায়। এত গিফট তাকে কেন পাঠাবে তা জানতে চাইলে বিদেশি বন্ধু জানায় তার অনেক টাকা আছে আর সে ভিকটিমকে ভাল বন্ধু হিসেবেই এটি দিতে চাচ্ছে। এর বিনিময়ে সে কিছুই চায় না।
বিদেশি বন্ধু আরাে জানায় উক্ত গিফটে ভেতরে আইফোন , আইপ্যাড সহ বেশ কিছু ডলার ও থাকবে। এর কয়েকদিন পরেই ভিকটিম একটি বাংলাদেশি নম্বর থেকে ফোন পায়।
সেখানে কেউ একজন কাষ্টমস কর্মকর্তা পরিচয়ে তাকে জানায় যে তার একটি গিফটের প্যাকেট এসেছে কিন্তু দেশের নিয়ম অনুযায়ী কাষ্টমস ডিউটি না দিয়েই এ প্যাকেট চলে এসেছে। সুতরাং তাকে উক্ত প্যাকেট ছাড় করাতে হলে ৪৫ হাজার টাকা দিতে হবে। ভিকটিম কথা মত একটি একাউন্টে উক্ত টাকা পরিশােধ ও করে। পরে তাকে আবার ও জানানাে হয় যে তার পার্সেলে বেশ কিছু নগদ অর্থ পাওয়া গিয়েছে সুতরাং তাকে আবার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে।
এ টাকা দেয়া না হলে ভিকটিমের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন ও মানিলন্ডারিং আইনে মামলা হবে বলে ভয় ভীতি দেখানো হয়। এ অবস্থায় ভিকটিম ভীত ও সন্দেহগ্রস্থ হয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশদশের সঙ্গে যােগাযােগ করে। পরে ওই নম্বরের সূত্র ধরে প্রতারণার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত দুজন বাংলাদেশি ও একজন নাইজেরিয়ান নাগরিককে আটক করে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও ১৫ জন নাইজেরিয়ান নাগরিককে ঢাকার পল্লবী এলাকা থেকে আটক করা হয়।