ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

য‌শো‌রে গৃহবধু‌কে ধর্ষ‌ণের আলামত মিলেছে


প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


য‌শো‌রে গৃহবধু‌কে ধর্ষ‌ণের আলামত মিলেছে

   

যশোর থেকে খান সাহেব : যশোরের শার্শায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্টে চিকিৎসকরা ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন। তবে, সেখানে কার কার ‘বীর্য’ রয়েছে তা ডিএনএ টেস্ট ছাড়া বলা যাচ্ছে না।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার-আরএমও ডা. আরিফ আহমেদ এসব তথ্য জানান।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ডা. আরিফ আহমেদ  বলেন, ‘গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর আলামত সংগ্রহ করে তা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পাওয়া রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। কিন্তু সেই বীর্য কার বা কাদের তা ডিএনএ টেস্ট ছাড়া বলা যাবে না।

সিআইডির মাধ্যমে ডিএনএ টেস্ট করাতে হয়। ডিএনএ টেস্ট রিপোর্ট পাওয়া গেলেই জানা যাবে−এক নাকি একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিআইডির পক্ষ থেকে আমাদের বলা হয়েছে, আলামত প্রস্তুত রাখতে।’

এদিকে, গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার তিন আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশ আদালতে আজ আবেদন করবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর এলাকায় ওই গৃহবধূর বাড়িতে ২ সেপ্টেম্বর রাতে গিয়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন গোড়পাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল ও তার সোর্স। টাকা দিলে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৫৪ ধারায় মামলা দেখিয়ে জামিনে সহায়তা করবেন বলে জানান। ফেনসিডিল মামলায় জেলহাজতে থাকা তার স্বামীকে কীভাবে ৫৪ ধারা দেবেন−এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়।

একপর্যায়ে খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর এসআই ও কামরুল ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। ৩ সেপ্টেম্বর সকালে ওই নারী যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য এলে বিষয়টি চাউর হয়ে যায়।

এদিকে, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ায় জেলা পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ধর্ষণের এই ঘটনায় ওই গৃহবধূ ৩ সেপ্টেম্বর রাতে শার্শা থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর-০৪/০৩.০৯.১৯) করেন। মামলায় গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ খায়রুলের নাম বাদ দেওয়া হয়।

তবে, শার্শার চটকাপোতা এলাকার কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল, লক্ষ্মণপুর এলাকার আব্দুল লতিফ এবং আব্দুল কাদেরের নাম উল্লেখ এবং একজনকে অজ্ঞাত করে আসামি করা হয়। পুলিশ সেই রাতেই তাদের তিন জনকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করে।

অবশ্য এসআই খায়রুলকে ‘তদন্তের স্বার্থে’ সেখান থেকে প্রত্যাহার করে যশোর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।


   আরও সংবাদ