ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরাধ ঘটিত হওয়ার পূর্বেই তা বন্ধ করতে হবে : শেখ কবির


প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


অপরাধ ঘটিত হওয়ার পূর্বেই তা বন্ধ করতে হবে : শেখ কবির

   

ঢাবি প্রতিনিধি : অপরাধ যেন সংঘটিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, অপরাধ ঘটিত হওয়ার পর দমন করার পূর্বেই তা সংঘটনের পথ বন্ধ করে দিতে হবে এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি’র সভাপতি শেখ কবির হোসাইন। 

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্রিমিনোলজি (অপরাধ বিজ্ঞান) বিভাগের 'ক্রিমিনোলজি এন্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস' প্রফেশনাল মাস্টার্সের ৬ষ্ঠ ব্যাচের নবীন বরণ ও ১ম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমেদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। 

শেখ কবির হোসাইন বলেন,‘আমরা অপরাধকে করতে দেই, তারপর আমরাই তা দমন করি বরং এই অপরাধ যেন না ঘটে সেই ব্যবস্থা করা দরকার। যার দায়িত্ব ক্রিমিনোলজি (অপরাধ বিজ্ঞান) বিভাগের নেয়া উচিত।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ফুল এবং উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষার্থীরা। অতঃপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উম্মে আরা বেগম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম. শাহ্ নেওয়াজ আলী বলেন,‘সভ্যতার বিবর্তনে, প্রযুক্তির উন্নয়নে, বিজ্ঞানের আকাশচুম্বী আকাঙ্ক্ষার মধ্যে দিয়ে আমাদের জীবন আজ শৃঙ্খলিত, সেই জীবনকে ধারণ করার জন্য বড় হতে হবে, প্রযুক্তি জানতে হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো ধারণ করে আজ পৃথিবীতে অপরাধের জন্ম। তাই আমাদের ক্রিমিনোলজি (অপরাধ বিজ্ঞান) অধ্যয়ন করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন,‘জীবন, ব্যাক্তি স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা বোধের প্রয়োজনীয়তা থেকে আজকে অপরাধ বিজ্ঞান পাঠ জরুরী হয়ে পড়েছে।’ 

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম কিশোর অপরাধ দূরীকরণে কিশোরদের স্বাধীনতা দেয়া এবং পারিবারিক কোন্দল থেকে তাদের দূরে রাখার আহ্বান জানান। 

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈচিত্র্যময় কথা হবে, কিছু প্রতিবাদ হবে, বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করা এবং আত্মসমালোচনা করা, নৈতিক সমালোচনা করা এবং গণতন্ত্র কোন পথে তার সমালোচনা করা হবে, তাই এই জায়গাগুলোতে যদি মুখ বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে স্বায়ত্তশাসন বিঘ্নিত করা হবে।’

ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. শাহ্ নেওয়াজ আলী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্য শেষে নবীনদের ক্রেস্ট দিয়ে বরণ এবং ১ম ব্যাচের বিদায়ীদের বই দিয়ে অভিনন্দন জানান অতিথিবৃন্দ। এছাড়া সাফল্যের স্বাক্ষর রাখার জন্য দুইজন শিক্ষার্থীকে চেয়ারম্যান মেরিট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।


   আরও সংবাদ