ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

থাই জান্তা দলের অপ্রত্যাশিত সাফল্য


প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


 থাই জান্তা দলের অপ্রত্যাশিত সাফল্য

   

২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থাইল্যান্ডে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা অপ্রত্যাশিতভাবে এগিয়ে আছে।

থাইল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচনে গতকাল রোববার দিনব্যাপী ভোট নেওয়া হয়। স্থানীয় সময় রোববার গভীর রাত নাগাদ ৯০ শতাংশের বেশি ভোট গণনা করা হয়েছে বলে জানায় দেশটির নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ।

গণনা করা ভোটের ফল অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন জান্তাই ফের দেশটির ক্ষমতায় আসছে।

সামরিক কর্তৃপক্ষ প্রণীত নতুন আইনের অধীনে থাইল্যান্ডের এই সাধারণ নির্বাচনে ৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।

নির্বাচনের ফল অনুকূলে আনতে দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষ সব ব্যবস্থাই করে রেখেছিল। তবে ক্ষমতাসীন জান্তা বিপুল ভোট পাবে, তা বিশ্লেষকদের ধারণায় ছিল না। কারণ, একদিকে জান্তা শাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বেড়ে চলছিল, অন্যদিকে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার পুয়ে থাই পার্টির জনপ্রিয়তা।

নির্বাচনে সেনা–সমর্থিত পালাং প্রাচা রাথ পার্টি (পিপিআরপি) ৭৬ লাখের বেশি ভোট পেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

পিপিআরপির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থাকসিন সিনাওয়াত্রার পুয়ে থাই পার্টি। পুয়ে থাই পার্টির চেয়ে প্রায় ৫ লাখ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে পিপিআরপি।

পিপিআরপির হয়েই দেশটির সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল প্রাউথ চান-উচা একমাত্র প্রার্থী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ছেন। তাঁকে ফের প্রধানমন্ত্রী করতে চায় দলটি।

পিপিআরপির নেতা উত্তমা সাভানায়ানা বলেছেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে তাঁরা সন্তুষ্ট।

দেশটির নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করে সোমবারের আগে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণার বিষয়টি স্থগিত করেছে। এই স্থগিতাদেশের কারণে নিম্নকক্ষ সিনেটে কোন দল কত আসন পেল, তা–ও আপাতত জানা যাচ্ছে না।

নির্বাচনের নানা দিক নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচন নিয়ে গণতন্ত্রপন্থীরা তাদের হতাশার কথা জানিয়েছে।

পুয়ে থাই পার্টির নেতা ভিরোজ পাও-ইন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই নির্বাচন স্বাভাবিক নয়। সামরিক জান্তা এই নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও অর্থ—দুটিরই ব্যাপক অপব্যবহার করেছে।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে থিতাওয়াত তুনপিচাই নামের ২৪ বছর বয়সী এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘এটা (নির্বাচন) থাই রাজনীতির ব্যর্থতা।’


   আরও সংবাদ