ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ভৌগলিক ও কৌশলগত কারণে মুজিবনগর ছিল গুরুত্বপূর্ণ : রাবাব ফাতিমা


প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ভৌগলিক ও কৌশলগত কারণে মুজিবনগর ছিল গুরুত্বপূর্ণ : রাবাব ফাতিমা

   

জাপান (টোকিও) শিপলু জামান : জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসটির উপর এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনে ‘সরকার’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। একটি স্বাধীন সরকার ছাড়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্র কল্পনাই করা যায় না। সেই প্রেক্ষাপটে ১৭ এপ্রিল তথা মুজিবনগর দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক অনন্য দিন।  

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশি সাংবাদিক ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে সরকার গঠন বাংলার মুক্তিকামী জনগণকে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে অনুপ্রাণিত করেছিলো। এছাড়া ভৌগলিক ও কৌশলগত কারণে মুজিবনগর ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পরে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনায় প্রবাসী নেতৃবৃন্দ বলেন, সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অস্ত্রের ভয় উপেক্ষা করে আমাদের জাতীয় নেতাগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী এবং এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও  ক্যপ্টেন এম. মনসুর আলীকে মন্ত্রিসভার সদস্য করে শপথ গ্রহণ ও স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী সরকার গঠন করেন। মূলতঃ এখান থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের পথ চলা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করা মুজিবনগর তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অবিনশ্বর হয়ে থাকবে। বক্তাগণ মুজিবনগর সরকার গঠনের তাৎপর্য ও সঠিক ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ বিষয়ে আরো গবেষণার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে উপস্থিত সকলকে শুনানো হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। চা চক্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।


   আরও সংবাদ