ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিফটি করে দলকে জেতালো আফিফ 


প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ফিফটি করে দলকে জেতালো আফিফ 

   

স্পোর্টস ডেস্ক: বৃষ্টির কারণে ওভার কমিয়ে ১৮ ওভারে ম্যাচ খেলা হয়। জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৪৫ রানের সহজ টার্গেটকে কঠিন করে তলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু বোলিংয়ে বাংলাদেশের শেষ এবং ব্যাটিংয়ের শুরুটা মন ভেঙে দেয় ভক্তদের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিবর্ণ ব্যাটিং-বোলিং দেখার চেয়ে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় যেন শ্রেয় ছিল। তবে তরুণ ব্যাটসম্যান আফিফ ফিফটি করে ম্যাচ বের করে নেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে জিম্বাবুয়ের হাতের ম্যাচ ৩ উইকেটে ছিনিয়ে নেন মোসাদ্দেক।

বৃষ্টি ভেজা মাঠে শুরুর ১০ ওভারে টাইগার স্পিনার ও পেসারদের দাপটে ৫ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে রায়ান ব্রার্ল ঝড়ে বাংলাদেশকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। জবাবে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস ২৬ রান যোগ করেন। এরপরই এক রানের ব্যবধানে ফিরে যান লিটন, সৌম্য ও মুশফিক। একটু পরেই সাজঘরে ফেরেন সাকিব। মাহমুদুল্লাহ-সাব্বিরও বেশিক্ষণ ভরসা দিতে পারেননি। বাংলাদেশ ১০ ওভারে ৬০ রানে ৬ উইকেট হারায়।

সেখান থেকে আফিফ এবং মোসাদ্দেক যোগ করেন ৮২ রান। আফিফ হোসেন ২৬ বলে আট চার ও এক ছয়ে ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। দুইশ’ স্ট্রাইক রেটে রান তোলেন তিনি। নিজের অভিষেক টি-২০ ম্যাচে ব্যর্থ হন আফিফ। দলে ফিরে সেটা পুষিয়ে দিলেন বাঁ-হাতি এই অলরাউন্ডার। তাকে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যেতে না দেওয়ার কারণও বুঝিয়ে দিলেন। তার সঙ্গে ক্রিজে থাকা মোসাদ্দেক খেলেন ২৪ বলে ৩০ রানের হার না মানা ইনিংস।

এর আগে শুরুতে লিটন দাস ১৪ বলে ১৯ রান করে দলকে ভরসা দিয়ে শুরু করেন। কিন্তু তিনি ফিরতেই ছন্নছাড়া দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। মাত্র ২৯ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। মাহমুদুল্লাহ-সাব্বির যথাক্রমে ১৪ ও ১৫ রানে আউট হয়ে চাপ আরও বাড়িয়ে দেন। সেখান থেকে বাংলাদেশকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান আফিফ-মোসাদ্দেক।

শুক্রবার মিরপুরে টস জিতে ফিল্ডিং নেন সাকিব। বৃষ্টির ম্যাচেও দুই পেসার নেন তিনি। দুই প্রান্ত দিয়ে তোলেন স্পিন আক্রমণ। অভিষেকে টি-২০ ম্যাচে নিজের প্রথম বলেই উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। পরে মুস্তাফিজ-সাইফউদ্দিন ঝলকে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তবে রায়ান ব্রুল ৩২ বলে ৫৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। ১৬তম ওভারে সাকিবের বলে তিন ছক্কা ও তিন চারে ৩০ রান নেন তিনি। সঙ্গে মাতুমবজি ২৭ রান করে ৮১ রানের জুটি গড়েন। তার আগে অধিনায়ক হ্যামিলটন মাসাকাদজা ২৬ বলে ৩৪ রান করে আউট হন।

বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ৪ ওভারে ৪৯ রান খরচা করে উইকেট শূন্য থাকেন। তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেট নেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে কাইল জারভিস, টেন্ডি সাতারা এবং নেভিল মাসজিভা দুটি করে উইকেট নেন। শনিবার জিম্বাবুয়ে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে।


   আরও সংবাদ