ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় আসছে না মাদক, ব্যবসায়ীদের টার্গেট বিজিবি সদস্যরা


প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় আসছে না মাদক, ব্যবসায়ীদের টার্গেট বিজিবি সদস্যরা

   

স্টাফ রিপোর্টার : এবছর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের ওপর মাদক কারবারীদের হামলা বেড়েছে বিগত বছর গুলোর তুলনায় বেশি। মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় জুলাই মাসে নিহত হয় বিজিবি সদস্য আকমল হোসেন।

এই বছর বিজিবির দায়ের করা মাদক মামলার সংখ্যা বেড়েছে। তবে কমেছে মাদক উদ্ধার। 

বিজিবির সূত্রে জানা গেছে, গত বছর (২০১৮ সাল) মাদক কারবারিদের হামলায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়। অন্যদিকে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত বিজিবির ৪২ জন সদস্য আহত হয়েছে। শুধু তাই নয়, চলতি বছর কারবারীদের হামলায় বিজিবির একজন সদস্য নিহত হয়েছে।

বিজিবির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে বিজিবি মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৩টি মামলা দায়ের করে এবং ২ হাজার ১৫১ জন মাদক কারবারীকে আটক করে। 

অন্যদিকে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত বিজিবি ২ হাজার ১৮৮টি মামলা দায়ের করেছে এবং ১ হাজার ৭৬০ জন মাদক কারবারীদের আটক করেছে। গত বছরের তুলনায় এই বছরে বিজিবির অভিযানে উদ্ধার করা মাদকের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। 

পরিসংখ্যানে আরো দেখা গেছে, গত বছর ৪১৮ কোটি ৮১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৬ টাকা মূল্যের মাদক উদ্ধার করেছে বিজিবি। যার মধ্যে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ১৩ হাজার ৬৮২ দশমিক ৩৪৩ কেজি গাঁজা, ৭৯ হাজার ২৮৬ বোতল বিদেশি মদ, ৪ হাজার ৬০৮ দশমিক ৩৫ লিটার দেশি মদ, ৩৬ হাজার ৪৩৫ বোতল বিয়ার, ৩৩ দশমিক ৩৫১ কেজি হেরোইন, ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫১৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১৯ হাজার ৪৪৮টি নেশা জাতীয় ইনজেকশন রয়েছে।

এ বছর বিজিবির একাধিক অভিযানে মাত্র ২০৬ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার ৪৫৭ টাকা মূল্যের মাদক উদ্ধার হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অর্ধেক। এর মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৫ হাজার ২৪৯ দশমিক ৩৪২ কেজি গাঁজা, ৫১ হাজার ৬৫ বোতল বিদেশি মদ, ২ হাজার ১৯৭ দশমিক ৭০০ লিটার দেশি মদ, ২ হাজার ৮৪৫ বোতল বিয়ার, ১০ দশমিক ১০৮ কেজি হেরোইন, ৬১ লাখ ৪০ হাজার ৭৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৮ হাজার দুটি নেশা জাতীয় ইনজেকশন রয়েছে। 

বিজিবির সূত্রগুলো বলছে, মাদক উদ্ধারের পরিমাণ কমেছে কারণ চোরাচালান রুট বাধাপ্রাপ্ত  হওযায় মাদক আসছে না। তবে এ বিষয়ে বিজিবির মহাপরিচালক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।


   আরও সংবাদ