প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : গণ পরিবহনে ট্রিপ ও দৈনিক ভিত্তিতে নয় কোম্পানিকে মাসিক বেতনের ভিত্তিতে চালক নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এসময় ছয় মাসের মধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
দুই বাসের রেষারেষিতে রাজধানীর তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হাসানের হাত হারানোর পর মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার রায়ে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রায়ে বলা হয়, চলন্ত অবস্থায় গণপরিবহনের দরজা বন্ধ রাখতে হবে এবং শুধুমাত্র নির্দিষ্ট স্টপেজে খুলতে পারবে। যেখানে গাড়ির প্রয়োজনীয় গাড়ির কাগজপত্র চেক করা হয়। সেখানে সব ধরণের গাড়ির চালকদের ডোপ টেস্ট করতে হবে। যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করা যাবে না।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ছাড়া অন্য সব যানবাহন হর্ণ ব্যবহার করতে পারবে না।
বাস কোম্পানি ও চালকদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগীতা দূর করতে সকল মহানগরে চলাচলকারী বিদ্যমান সকল বাস কোম্পানিগুলোকে একটি কোম্পানির অধীনে এনে ইউনিক কালার কোডের মাধ্যমে জোন বা লাইন ভিত্তিক বাস রুট ফ্যাঞ্চাইজ করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার সময় সব ধরণের গাড়ির চালকদের দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা ও ডোপ টেস্ট করার ব্যবস্থা করতে হবে।
সব মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। যেটা তদন্ত কার্যক্রম এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ও অপারেটিং সিস্টেমে সহায়তা করবে। নির্মাণ করতে হবে যাত্রীদের জন্য যাত্রী ছাউনি।
এছাড়া রায় পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে রাজীবের ছোট দুই ভাই মেহেদী হাসান বাপ্পী ও আব্দুল্লাহ হৃদয়কে ক্ষতিপূরনের ৫০ লাখ টাকা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় দু’বাসের রেষারেষিতে হাতকাটা পড়ে কলেজছাত্র রাজীবের। এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
হাইকোর্ট ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রুল জারিসহ রাজীবের চিকিৎসার খরচ দুই বাস মালিক বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনকে বহনের নির্দেশ দেন। রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত বছরের ১৬ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রাজীবের।
বাস মালিকদের আপিলের পর গত বছরের ২২ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ ওই ঘটনায় দুই বাস কর্তৃপক্ষের মধ্যে কারা দায়ী ও ক্ষতিপূরণ নিরূপণ করতে একটি ‘স্বাধীন কমিটি’ গঠনে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন। পরে ওই কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে হাইকোর্ট রাজীবের দুই ভাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেন।
