ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বাবরি মসজিদ ফেরত চাই: এমপি ওয়াইসি


প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


বাবরি মসজিদ ফেরত চাই: এমপি ওয়াইসি

   

ডেস্ক নিউজ: বাবরি মসজিদ রায়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমেনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি আরো কঠোর হলেন। রায় ঘোষণার পর থেকেই পাঁচ একর জমি চাই না বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তিনি এবার বাবরি মসজিদ ফেরত চাই বলে সাফ দাবি জানালেন এই মুসলিম নেতা।

শুক্রবার আউটলুক ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াইসি জানান, বাবরি মসজিদ রায় ভারতের সংবিধানের বিরুদ্ধ। আর সেই সংবিধানই আমাকে সেই অধিকার দিয়েছে এই রায়ের বিরোধিতা করার। শ্রদ্ধার সঙ্গে আমি সুপ্রিমকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করতে পারি। যা সংবিধানের বিরুদ্ধ তার বিরোধিতা আমি করবই।

তিনি বলেন, যা কিছু ভারতের সংবিধান এবং বহুত্ববাদের বিরোধিতা করে তার বিরোধিতা আমি করবই। আমার জন্য সংবিধানই শেষ কথা।

এছাড়া শুক্রবার এক টুইটে ওয়াইসি লিখেছেন, আমি আমার মসজিদ ফেরত চাই।

তিনি বলেন, একটুকরো জমির জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাইনি আমরা। তাছাড়া আদালত যখন এইমর্মে রায় দিয়েছে যে, বিতর্কিত স্থানে কোনো মন্দির ছিল না, সম্রাট বাবর মসজিদ তৈরি করার জন্য কোনো মন্দির ধ্বংস করেননি। তাই জমি চাই না; আমি আমার মসজিদ ফেরত চাই।

তিনি যোগ করেন, ভারত সংবিধানের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেই বলছি এ রায়ে আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই। ওই স্থানেই বাবরি মসজিস পুন:স্থাপন ভারতীয় মুসলিমদের বৈধ অধিকার। দান করা পাঁচ একর জমি আমাদের দরকার নেই। ভূমি দানের এই প্রস্তাব আমাদের প্রত্যাখ্যান করা উচিত বলেই মনে করি আমি।

তিনি বলেন, শুধু আমিই নই; অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল’ বোর্ডও এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি।

হায়দ্রাবাদের এমপি ওয়াইসি এর আগে বলেছিলেন, বাবরি মসজিদ যদি বৈধ হয় তাহলে এল কে আদভানি ওই জমি কি করে পেতে পারে? শুধু বিশ্বাসের ওপর ভর করে এতো বড় একটা রায় হতে পারে না।

তিনি আরও বলেছিলেন, এ রায় ঘোষণায় ভারতসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় অপমানিত হয়েছে। ভারতীয় মুসলমানদের ভিক্ষুক বানানোর চেষ্টা করবেন না। আমরা ভারতের সম্মানিত নাগরিক। একটুকরো জমির জন্য নয়, বৈধ অধিকারের জন্য লড়েছি আমরা।

প্রসঙ্গত কয়েক দশকের আইনি লড়াইয়ের পর গত ৯ নভেম্বর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ মামলার রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট।

এতে প্রায় পাঁচশ বছর আগে নির্মিত মসজিদটির জমি মন্দির নির্মাণে হিন্দুদের দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর মসজিদটি ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেয় দেশটির হিন্দুত্ববাদীরা।

আর মসজিদ নির্মাণে মুসলমানদের শহরের অন্যত্র পাঁচ একরের একখণ্ড জমি দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ভারত সরকারকে।

ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এ রায় দিয়েছে।


   আরও সংবাদ