ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতিসংঘের অধিবেশনে স্বাস্থ্য ও জলবায়ুসহ ৫টি বিষয় গুরুত্ব পাবে


প্রকাশ: ৬ অগাস্ট, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


জাতিসংঘের অধিবেশনে স্বাস্থ্য ও জলবায়ুসহ ৫টি বিষয় গুরুত্ব পাবে

   

 


বিএননিউজ ডেস্ক : 
এবারের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন নিশ্চিতে অর্থায়ন এবং ছোট আয়তনের দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর উন্নয়নে অর্থায়ন, এই ৫টি বিষয়ের ওপর সামিট (মূল আলোচনা) হবে। 

আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বিশ্ব নেতাদের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

একাধিক কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন জাতিসংঘ সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। এবারের সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও কথা বলবেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বিশ্বের শান্তি, প্রগতি, স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে এবং ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের অধিকার নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার করার প্রস্তাব দেবেন।

জাতিসংঘ এক বার্তায় জানিয়েছে, প্রতিবছরের মতো এবারের সেপ্টেম্বরেও জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনে ৫ বিষয়ে সামিট এবং এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা প্রাধান্য পাবে। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বিশ্ব কীভাবে কাজ করবে, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে আরো কী পদক্ষেপ নিতে হবে তা গুরুত্ব দিয়ে বৈশ্বিক নেতারা আলোচনা করবেন।

বিশ্বের মানুষের নিরাপদ স্বাস্থ্য অধিকার এবং নিশ্চিন্তে বসবাসের অধিকার কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের জন্য যে ১৭ টি লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করা হয়েছে সেগুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে, যাতে ক্ষুধা এবং দারিদ্র্য দূর করে মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ন্যায় বিচার এবং কাজ করার অধিকার নিশ্চিত করা যায়।

জাতিসংঘ জানাচ্ছে, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে এবার প্রথমবারের মতো উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বের সকল মানুষের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে এবারের সম্মেলনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে এ বিষয়ের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নতুন ঘোষণা আসবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেড়েই চলছে। কিন্তু এর মধ্যেও জরুরি ভিত্তিতে রূপান্তরিত পদক্ষেপ নিলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা সম্ভব। এ বিষয়ে করণীয় এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে এবারের সম্মেলনে একাধিক রাষ্ট্রের নেতা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা এবং সমাজের (সিভিল সোসাইটি) প্রতিনিধিরা আলাপ করবেন। সবাই মিলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা সমাধানের পথ বের করবেন।

সুখি, সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ বিশ্ব গড়তে বিগত ২০১৫ সালে জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে। যা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগ প্রয়োজন, যা খুবই জটিল বিষয়। বিশ্বের অনেক দেশই এই খাতের অর্থায়নের অভাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে পিছিয়ে পড়ে যাচ্ছে। তাই এবারের সম্মেলনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিতে অর্থায়ন বিষয়ে বৈশ্বিক নেতারা সরকারি প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং আর্থিক খাতের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মত বিনিময় (হাই লেভেল ডায়ালগ) করবেন। যাতে একাধিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সমস্যাগুলোর সমাধান করা যায়।

জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে, বিশ্বে ছোট আয়তনের অনেক দ্বীপ রাষ্ট্র রয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ছোট আয়তন, প্রত্যন্ত অঞ্চল, সীমিত সম্পদ, বৈশ্বিক জলবায়ু প্রভাবসহ এই রাষ্ট্রগুলো অনেক ঝুঁকি মোকাবিলা করছে। এই রাষ্ট্রগুলোর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে এবারের সম্মেলনে আলোচনা করা হবে।


   আরও সংবাদ