ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

রোগী, ডাক্তার, নার্সসহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের ডেঙ্গু রোধ সচেতন ডিএনসিসি


প্রকাশ: ২১ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


রোগী, ডাক্তার, নার্সসহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের ডেঙ্গু রোধ সচেতন ডিএনসিসি

   

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীনস্থ এলাকাসমূহের কোভিড ও নন-কোভিড হাসপাতালগুলোতে অবস্থানরত রোগী, ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত অন্যান্যদের ডেঙ্গু রোগে আক্রন্ত হওয়ার ঝুঁকি রোধকল্পে গত ২০ জুন শনিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশকনিধন কার্যক্রম শুরু করেছে ডিএনসিসি। 

আজ সোমবার (২২ জুন) হাসপাতালসমূহে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার তৃতীয় দিনে বিকাল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তরের মোট ৩৪টি হাসপাতালে ডিএনসিসি কর্তৃক মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। 

হাসপাতালগুলো হচ্ছে-
উত্তরা অঞ্চল-১ এর ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ঢাকা আই কেয়ার হাসপাতাল, সেন্ট্রাল হাসপাতাল, আশিয়ান হাসপাতাল, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল, ইবনে সিনা ডায়গনেস্টিক সেন্টার, ল্যাব এইড ডায়গনেস্টিক সেন্টার।
মিরপুর অঞ্চল-২ এর আধুনিক হাসপাতাল, মেরীস্টোপ প্রিমিয়াম ক্লিনিক, আলোক ডায়গনেস্টিক এন্ড কনসাল্টেশন সেন্টার, সরকারি হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল, ল্যাব এইড ডায়গনেস্টিক এন্ড কনসাল্টেশন সেন্টার, পপুলার ডায়গনেস্টিক সেন্টার, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র-৪, রাড্ডা এমসিএইচ-এফপি সেন্টার, ওজিএসবি হাসপাতাল, মিরপুর-১
মহাখালী অঞ্চল-৩ এর শমরিতা হাসপাতাল, ইএনটি হাসপাতাল, থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইম্পালস হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্র। 
মিরপুর অঞ্চল-৪ এর নগর মাতৃ সদন-মিরপুর, ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতাল কল্যাণপুর, সালাউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল- মিরপুর-১, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন-মিরপুর-২, আল হেলাল স্পেশালাইজড হাসপাতাল এবং হাইটেক হাসপাতাল। 
কারওয়ান বাজার অঞ্চল-৫ এর অধীন জাতীয় কিডনী রোগ ইনস্টিটিউট, ২৫০ বেড টিবি হাসপাতাল শ্যামলী, আল-মানার হাসপাতাল, মিলিনিয়াম হার্ট এন্ড জেনারেল হাসপাতাল, সিটি হাসপাতাল লালমাটিয়া, আল নূর চক্ষু হাসপাতাল লালমাটিয়া এবং ডিজিটাল ডায়গনিস্টিক হাসপাতাল বসিলা।

হাসপাতাল এলাকায় চলমান মশক নিধন কার্যক্রম নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও সচেতন হবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন সকলের সহযোগিতা পেলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ আমরা ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ কমাতে সক্ষম হবো।তিনি হাসপাতালে অবস্থানরত সাধারণত রোগী ও রোগীর স্বজনদের হাসপাতালে ঘুমানোর সময়ে মশারীর ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। 

একই সাথে হাস্পাতালের বাথরুম, টয়লেটসহ হাসপাতাল প্রাঙ্গন এবং ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি আবারও মনে করিয়ে দেন, হাসপাতালে কোন একজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুতই সেখানে সেবাদানকারী ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য রোগীসহ আরও অনেকের সংক্রমিত হওয়ার আশংকা থাকে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।

২০জুন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই ৩দিনে মোট ৯২ টি হাসপাতালে এই বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।  
উল্লেখ্য, প্রতিদিন বিকাল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত লার্ভিসাইডিং (মশার লার্ভার কীটনাশক) ও এডাল্টিসাইডিং (পরিণত মশার কীটনাশক) প্রয়োগ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিএনসিসি কর্তৃক বিভিন্ন হাসপাতালের আঙ্গিনায় এবং আশেপাশে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তরের হাসপাতালগুলোতে আগামীকালও মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকায় স্বাভাবিক মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।


   আরও সংবাদ