ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ওআইসি যুব রাজধানীর উদ্বোধন করবেন


প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ওআইসি যুব রাজধানীর উদ্বোধন করবেন

   

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৭ জুলাই বিকাল ৪টায়  ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ঢাকা ওআইসি যুব ক্যাপিটাল- ২০২০ আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা  করবেন। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত থাকবেন ওআইসি এর মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন, কাতারের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সালেহ বিন গানেম আল আলী, আজারবাইজানের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী আজাদ রহিমভ, আইসিওয়াইএফ এর প্রেসিডেন্ট তাহা আইয়ান  ও অন্যান্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দ।

আজ শনিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিস্তারিত গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, যু্ব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও Islamic সহযোগিতা যুব ফোরাম (আইসিওয়ায়এফ)এর প্রেসিডেন্ট  তাহা আইয়ান ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত  ছিলেন। উক্ত প্রেস কনফারেন্সে দেশী ও বিদেশী সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এ বছর ওআইসি যুব রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে আন্তজার্তিক এ স্বীকৃতি জাতি হিসেবে আমাদের গর্বিত করে। 

আগামী  ২৭ জুলাই বছরব্যাপী বিস্তৃত ওআইসি যুব ক্যাপিটাল -২০২০ এর নানা আয়োজনের  আনুষ্ঠানিক  উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের ৭৫ টি দেশের প্রায় বারো শতাধিক তরুণ উক্ত আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে অনলাইনে আবেদন করেন। তন্মধ্যে আগামী ২৭ ও ২৮ জুলাই ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত নমনীয় যুব নেতৃত্বের শীর্ষ সম্মেলনে ২৫০ জন যুবক অংশগ্রহণ করবে। 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এ আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বে আমাদের যুবসমাজের অমিত সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে।  আমরা বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর সুবিধা ভোগ করছি। আমাদের মেধাবী ও দক্ষ যুব শক্তি রয়েছে।  এছাড়াও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ সরকার যে মানবিক সহায়তা করছে সেটিও বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আমরা গত ১২ এপ্রিল ঢাকায় ওআইসি যুব ক্যাপিটাল -২০২০এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা নির্ধারিত কর্মসূচি স্হগিত করতে বাধ্য হই। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে  আমরা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে নতুন আঙ্গিকে ওআইসি যুব ক্যাপিটাল -২০২০ এর সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করেছি।
 
আমরা আশা করছি, সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় মুজিব বর্ষে আমরা অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ন ভাবে সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারবো। 

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল অনুষ্ঠানটি এবার ভার্চুয়াল ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। গণভবন থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি দুই দিন ব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। 

মুসলিম বিশ্বের তরুণদের দৃঢ় ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করার প্রয়াসে তরুণদের নানামুখী কৃতিত্বে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফ) ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশসমূহকে ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল’ এর স্বীকৃতি প্রদান করে আসছে।

বিগত ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া তীব্র প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিভিন্নধাপ সফলতার সাথে সম্পন্ন করে ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গৌরবজনক এই স্বীকৃতি অর্জন করে। ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ হিসেবে বাংলাদেশের এই অর্জন বাংলাদেশের তরুণ সমাজের জন্য অপরিসীম অনুপ্রেরণার সঞ্চার করেছে। বাংলাদেশের এই স্বীকৃতি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল ও শক্তিশালী ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
‘ঢাকা-ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’-এর প্রতিপাদ্য ‘সমতা ও সমৃদ্ধির জন্য স্থিতিস্থাপকতা’ যা এই সংকটকালীন সময়ের কথা বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অব্যবহিত পর ২৭ ও ২৮ জুলাই দুইদিনব্যাপী ‘স্থিতিশীল যুব নেতৃত্বের শীর্ষ সম্মেলন’ নামে একটি যুবসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলনের অন্যতম অংশ হিসেবে থাকবে কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে যুবসমাজ এবং প্রযুক্তি-এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়ে দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ এর সমন্বয়ে সেশন।

অধিকন্তু, এই যুবসম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য হবে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ও অত্যাচারিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে বিশ্বব্যাপী যুবসম্প্রদায়কে সচেতন করা এবং মিয়ানমারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে সম্মানজনক ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতকরণে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলা।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এর ভার্চুয়াল পরিদর্শন এবং দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে যুবসম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে ব্যাপকভাবে সচেতন করা হবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আপোষহীন সংগ্রাম এর গৌরবময় ইতিহাস বিশ্বের যুবসম্প্রদায়কে জানানোর তাগিদে ‘বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে।

বছরব্যাপী পরিকল্পনাকৃত অন্যান্য অনুষ্ঠানসমূহ হল-কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা; ফিল্ম ফেস্টিভাল; চিত্রকলা প্রদর্শনী; বিতর্ক প্রতিযোগিতা; স্কাউটক্যাম্প; এন্টারপ্রেনারশিপ, স্কিল ও এমপ্লয়মেন্ট ক্যাম্প এবং কুইজ প্রতিযোগিতা। 


   আরও সংবাদ