ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের সুযোগ কাজে লাগানোর পরামর্শ শিল্পমন্ত্রীর


প্রকাশ: ১৪ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের সুযোগ কাজে লাগানোর পরামর্শ শিল্পমন্ত্রীর

   

স্টাফ রিপোর্টার : করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাফল্য, বিশাল শ্রমশক্তি ও অভ্যন্তরীণ বিরাট বাজার থাকায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। 

তিনি বলেন, এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের শিল্পসমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে শিল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। 

আজ শনিবার (১৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন।

শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মহাপরিচালক ড. মফিজুর রহমান,  শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাউদ্দিন মাহমুদ এবং এ কে এম শামসুল আরেফিন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম। এতে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি সুনির্দিষ্ট  লক্ষ্য স্থির করে দেশের সকল সেক্টরে পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শনের ভিত্তিতেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওপর বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য অর্জনের মূল দায়িত্ব বর্তায় উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে পালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে শিল্প সচিব কে এম আলী আজম বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসম্ভব দূরদর্শী রাজনীতিবিদ এবং  ভীষণ মেধাবী অর্থনীতিবিদ। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনকে কেন্দ্র করে আজ সব উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বাঙালি জাতিকে শুধু স্বাধীনতা দিয়ে যাননি, এর সাথে একটি স্বপ্নও দিয়েছিলেন। বাঙালি জাতি যতদিন বঙ্গবন্ধুর চেতনা আঁকড়ে ধরে রাখবে, ততদিন উন্নয়নের ধারা থেকে বিচ্যুত হবে না। তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন। বাঙালি জাতির উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণে বঙ্গবন্ধু ধ্রুবতারা হয়ে থাকবেন বলে শিল্পসচিব মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এর আগে শিল্পমন্ত্রী এবং শিল্প সচিব পৃথকভাবে মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি'র পক্ষে শিল্প সচিব কে এম আলী আজম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

পরে শিল্পমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে স্থাপিত  বঙ্গবন্ধু কর্ণার পরিদর্শন করেন। এ সময় শিল্প সচিবসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।


   আরও সংবাদ