ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

এগ্রো প্রসেসিং ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভারতের সহযোগিতা চান : কৃষিমন্ত্রী


প্রকাশ: ২২ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


এগ্রো প্রসেসিং ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভারতের সহযোগিতা চান : কৃষিমন্ত্রী

   

স্টাফ রিপোর্টার : কৃষিমন্ত্রী এগ্রো প্রসেসিং ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

আজ রোববার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী দাশ কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। 

সাক্ষাতকালে দুদেশের কৃষি, প্রাণিসম্পদ, কৃষি প্রকৌশল এবং ডেইরি  নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় কৃষিসচিব নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একসময় কৃষিখাত কম উৎপাদনশীল ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষিখাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও আধুনিকীকরণ করা। সেজন্য কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ বাড়াতে হবে। 

বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে আছে। আর ভারত এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে আছে। সে জন্য, এসব ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দুদেশের একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতিতেও কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। দুদেশই কৃষিপ্রধান। আমরা দ্রুত শিল্পায়নের দিকে যাচ্ছি। সেটি করতে হলে অভ্যন্তরীণ বাজার বড় করতে হবে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা ও উন্নত করার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বাজার বাড়াতে হবে।

শুধু কৃষিতে নয়, শিল্পায়ন, সার্ভিস সেক্টরসহ অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে দুদেশের সহযোগিতা করার অনেক সুযোগ রয়েছে। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। ভারতের সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, এগ্রো প্রসেসিং, ডেইরি, কৃষি প্রকৌশল এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে দুদেশের সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে। এসময় তিনি এসব বিষয়সহ কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন।

====================================

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দক্ষতা সাথে কর্ম সম্পাদনের নির্দেশ গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার : গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ প্রত্যেক দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গুণগতমান বজায় রেখে দক্ষতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কর্ম সম্পাদনের নির্দেশনা প্রদান করেন। 

আজ রোববার (২৩ আগস্ট) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ মন্ত্রণালয়ের সাথে এর অধীনস্থ দপ্তর সংস্থাসমুহের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এর মাধ্যমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ গণপূর্ত অধিদপ্তর, স্থাপত্য অধিদপ্তর,  রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি আবাসন পরিদপ্তরসহ বারটি দপ্তর ও সংস্থা আগামী এক বছরে যে সকল কার্যক্রম সম্পাদন করবে তার কালানুক্রমিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। 

চুক্তিপত্রে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার এবং দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ নিজ নিজ দপ্তর ও সংস্থার পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নবযোগদানকৃত তিনজনসহ অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, যুগ্মসচিবগণ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার।


   আরও সংবাদ